সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

তিস্তার পানি সকালে বাড়লেও দুপুরে কমছে

  • নীলফামারী প্রতিনিধি

ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার (১২ জুলাই ২০২১) সকালে লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের নদীবেষ্টিত প্রায় ১০টি চরগ্রামের দুই সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে পানি।

এর আগে গত ৯ জুলাই রাতে ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। এতে ডিমলা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে বন্যার সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে পানি কমতে শুরু করলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, উজানের পাহাড়ি ঢলে সোমবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৬টায় পানি প্রবাহের উচ্চতা ছিল ৫২ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। সকাল ৯টায় ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটারে নামে। দুপুর ১২টায় পানির উচ্চতা ছিল ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। বেলা ৩টায় ৫২ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি সোমবার সকালে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর কমতে কমতে বেলা ৩টায় বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচে নামে।

প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার; যা বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপরে। সকাল ৯টায় ওই পানি কমে বিপৎসীমার সমানে (৫২.৬০) পৌঁছে। বেলা ১২টায় তা আরও কমে সাত এবং বিকাল ৩টার পর ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

সম্পর্কিত পোস্ট