সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন জান্তা প্রধান, ২০২৩ সালের মধ্যে নির্বাচন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর এক বছরের জন্য মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দু’বছরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতা দখলকারী সেনাবাহিনীর নেতৃবৃন্দ।

রোববার (১ আগস্ট ২০২১) এক ঘোষণার মাধ্যমে মিন অং হ্লাইং সেই সময়সীমা আরও ছয়মাস বাড়ালেন। মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের ছয় মাস পর দেশটির সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং নিজেকে নবগঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

গতকাল রোববার দেওয়া এক ভাষণে মিন অং হ্লাইং ২০২৩ সালের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেন। তার প্রশাসন ভবিষ্যত আঞ্চলিক দূতের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।

মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের নেত্রী সু চির বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল সেনাবাহিনী।

এরপর জান্তা শাসক মিন অং হ্লায়িং হন স্টেট অ্যাডমিনস্ট্রেশন কাউন্সিলের (এসএসি) প্রধান হন। এসএসি’ই অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে শাসন পরিচালনা করছে। এসএসি’র স্থালাভিষিক্ত হয়েছে নবগঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

মিয়ানমারের সেনা সমর্থিত মায়াওয়াড্ডি টিভির খবরে বলা হয়েছে, “দেশের কর্তব্য দ্রুত, সহজে এবং কার্যকরভাবে পালনের লক্ষ্যে স্টেট অ্যাডমিনস্ট্রেশন কাউন্সিলকে মিয়ানমারের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তর করা হয়েছে।”

গতকাল দেওয়া ভাষণে এই সামরিক নেতা দেশটিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে দেশের জরুরি অবস্থা শেষ হবে।”

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর এক বছরের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দু’বছরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতা দখলকারী সেনাবাহিনীর নেতৃবৃন্দ।

কিন্তু রোববারের এ ঘোষণার মাধ্যমে মিন অং হ্লাইং সেই সময়সীমা আরও ছয়মাস বাড়ালেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা (আসিয়ান) মনোনীত যে কোনো বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে তার সরকার কাজ করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন এ নেতা।

সহিংসতার অবসান করে দেশটির জান্তা ও বিরোধীদের মধ্যে আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে একজন বিশেষ প্রতিনিধি চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে আসিয়ান। এ লক্ষ্যে সোমবারেই বৈঠকে বসবেন আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

অন্যদিকে, দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের ছয় মাস পরও থামেনি ক্ষমতা দখলকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের ফলে অচল হয়ে পড়েছে দেশটির সরকারি ও বেসরকারি বহু খাত। গত শনিবারও দেশটির বিভিন্ন রাস্তায় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষের ওপর দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে জান্তা সরকার।

সূত্র: রয়টার্স

সম্পর্কিত পোস্ট