সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মশাবাহিত ১৪ ধরণের রোগ শনাক্ত, নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা জরুরি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। ডেঙ্গু রোগ ছাড়াও ম্যালেরিয়া, জিকা ফাইলেরিয়াসহ মশাবাহিত ১৪ ধরণের রোগে প্রতিবছর অনেক মানুষ মারা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবছরই লক্ষাধিক মানুষ মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। মশা থেকে বাঁচতে ও মশাবাহিত চিকিৎসায় খরচ হয় কয়েক হাজার কোটি টাকা।

কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়া, মশক নিধন কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ মশার প্রজননের উপযুক্ত ক্ষেত্র হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২৩ প্রজাতির মশা শনাক্ত করা হয়েছে। ঢাকায় আমরা পেয়েছি ১৪ প্রজাতির মশা। এর মধ্যে কিউলেক্স, এডিস ইজিপ্টি, অ্যালবোপিকটাস, ম্যানসোনিয়া, অ্যানোফিলিস অন্যতম।

তিনি বলেন, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ছাড়াও ফাইলেরিয়া রোগে দেশের মানুষ আক্রান্ত হয়। এ রোগে মানুষের হাত, পা ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে ওঠে। কেউ কেউ স্থানীয়ভাবে রোগটিকে গোদ রোগও বলা হয়। প্রায় ৩৪টি জেলাতে কম বেশি এই ধরনের রোগী পাওয়া যায়। কিউলেক্স মশার দুটি প্রজাতি ও ম্যানসোনিয়া মশার একটি প্রজাতির মাধ্যমে বাংলাদেশ এ রোগ ছড়ায়।

আগে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি ছিল। সরকারের ফাইলেরিয়া এলিমিনেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে রোগটিকে নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া জাপানিজ এনসেফালাইটিস নামক মশাবাহিত একটি রোগ বাংলাদেশে হয়ে থাকে। দেশে এ রোগ শনাক্ত হয় ১৯৭৭ সালে মধুপুর বন এলাকা থেকে। তারপর বিভিন্ন সময়ে রাজশাহী রংপুর চট্টগ্রাম খুলনা অঞ্চলে এ রোগটি পাওয়া যায়। এ রোগটি কিউলেক্স মশার মাধ্যমে ছড়ায়’ যোগ করেন তিনি।

মশাবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে মশা নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই বলে মনে করেন এ বিশেষজ্ঞ। তার মতে, মশা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি জনসচেতনতাও জরুরি।

সম্পর্কিত পোস্ট