সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়

  • ঢাবি প্রতিনিধি

দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৮ আগস্ট ২০২১) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অ্যালামনাই ফ্লোরে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড’ শীর্ষক এক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানহ সকল শহীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পার্ঘ অর্পণ এবং শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজার হাজার লোক জানাজা পড়া আর কফিনে জিয়াউর রহমানের লাশ থাকা, না থাকা কি এক কথা? মানুষ তো নিহত প্রেসিডেন্টের জন্য জানাজা পড়তে এসেছিল, সেই কফিনে যে প্রেসিডেন্টের লাশ নেই এটা তো মানুষ জানে না।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউল হক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হলে তার জানাজায় ফয়সাল মসজিদের সামনে ইসলামাবাদে এর চেয়েও বেশি মানুষ হয়েছিল। কিন্তু ওই কফিনেও জিয়াউল হকের লাশ ছিল না, এই কফিনেও জিয়াউর রহমানের মরদেহ ছিল না। এটাই হলো সত্য।

এসময় তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীকে কে আশ্রয় দিয়েছে? কে প্রশ্রয় দিয়েছে? কে নিরাপদে বিদেশি যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে? কে নির্বাসন করেছে? কে পুরস্কৃত করেছে? হত্যার রিপোর্ট করতে যাওয়ার পর মেজর ডালিমকে কে অভিনন্দন জানিয়েছিল?

তিনি আরও বলেনে, দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, ষড়যন্ত্রের ছক আঁকা হচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে, ঘোলা পানিতে কেউ কেউ মাছ শিকার করতে চায়। দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন, দেশের সাম্প্রদায়িক একটি মহলকে উৎসাহিত করেছে। এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। খুনি, ঘাতকদের নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।

সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে সেকুলারিজম, তা না চাইনিজ, না রাশিয়ান। তার মতাদর্শ সম্পূর্ণ আলাদা এক মডেল। এটি বাংলাদেশ এবং বাঙালির মডেল।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এ. কে. এম. আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রহমান উল্লাহ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার, সহ সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী (পারভেজ) ও মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট