- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আজ পবিত্র জুমার নামাজের পর পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার ঘোষণা আসতে পারে তালেবান মন্ত্রীসভার। তালেবান সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, দীর্ঘ ২০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা তালেবান শুক্রবার বিকেলে সরকার ঘোষণা করতে পারে। আফগানিস্তানে তালেবান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার তিন সপ্তাহর মধ্যে এ সরকার ঘোষণা হতে যাচ্ছে। তালেবানের ঊধ্র্বতন নেতা আহমাদুল্লাহ মুত্তাকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, রাজধানী কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তালেবান বাহিনী গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র।
এর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধের। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে আনুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয় ২০ বছর আগে ক্ষমতা হারানো তালেবানের।
তালেবান বলেছে, তারা সব জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করবে। আফগানিস্তানের জনগণসহ সারা বিশ্বের নজর এখন তালেবানের এই অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের দিকে।
তালেবানের সরকার কেমন হবে, তার অবশ্য একটি ধারণা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে এসেছে। সংগঠনটির সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার হাতেই থাকবে সর্বময় ক্ষমতা। তার অধীনে কাজ করবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকে এখন পর্যন্ত জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তবে সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে তিনি কয়েকদিন আগে কান্দাহার থেকে কাবুলে এসেছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
তালেবানের সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন আখুন্দজাদার তিন ডেপুটি। তাদের একজন তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব। মোল্লা ইয়াকুব বর্তমানে তালেবানের সামরিক শাখার দায়িত্বে আছেন।
আরেক ডেপুটি সিরাজুদ্দিন হাক্কানিকেও মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে। হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতৃত্বে আছেন তিনি। এ ছাড়া তালেবানের অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন।
আর আগেই ঘোষিত চার ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হলেন অর্থমন্ত্রী গুল আগা, ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সদর ইব্রাহিম, ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা আবদুল কাইয়ুম জাকির ও ভারপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি।