সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘ক্রাউন জুয়েল’ হিসেবে আখ্যায়িত শেখ হাসিনা

  • দেশকাল ২৪ ডটকম

টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও পরামর্শের প্রশংসা করে তাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ (মুকুট মণি) হিসেবে আখ্যায়িত করেছে আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অফ ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অংশ হিসেবে সোমবার নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সঞ্চালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এ অনুষ্ঠানটি নিয়ে আমরা গভীর আপ্লুত। আজকের দিনের ‘ক্রাউন জুয়েল’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে আপনাদের সামনে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

পরে সম্মেলনে অংশ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ জেফ্রি ডি. স্যাক্স।

অধিবেশনের শুরুতেই জেফ্রি স্যাক্স বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সঙ্গে একসাথে হতে পেরে আমরা আনন্দে উদ্বেলিত। এ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর এ বছর বাংলাদেশের ৫০তম জন্মদিন। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা। এটি আপনাদের উদযাপনের বছর।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা আপনার কথা শুনতে চাই, বিশেষ করে এই জন্যে যে, আমরা যখন পৃথিবীর দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের অগ্রগতি বিশ্লেষণ করি যা প্রতি বছর জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক করে থাকে, বৈশ্বিক বিভিন্ন সংকটের মধ্যেও ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অগ্রগতিতে বিশ্বে প্রথম হয়েছে।

তাই আমরা সেই অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমরা বাংলাদেশের এ অর্জনকে উদযাপন করতে চাই।

জেফ্রি স্যাক্স বলেন, বৈশ্বিক করোনা সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রগতি অভাবনীয়। বাংলাদেশে ৯২ শতাংশ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। স্বাক্ষরতা শিক্ষার হার বাড়ছে। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।

ডি. স্যাক্স সম্মেলনে তার বক্তব্যে মহামারীর মধ্যেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রগতি ধরে রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

পরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্জনের জন্য এসডিএসএনসহ কয়েকটি সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করেছে।

তারা বাংলাদেশের অবস্থা বিশ্লেষণ করেছে এবং মূল্যায়ন করে দেখেছে-বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করছে। এ পুরস্কার বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

গত জুনে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে এসডিজি গৃহীত হওয়ার পর যে তিনটি দেশ তাদের আগের অবস্থান থেকে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করতে পেরেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এই পুরস্কার এসডিজি অর্জনে আমাদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি। এসডিজির মূল বিষয় হচ্ছে কেউ পেছনে থাকবে না। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রাখব, যাতে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির যাত্রায় কেউ পেছনে না থাকে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের অধীনে ২০১২ সালে এসডিএসএন প্রতিষ্ঠা করা হয়। টেকসই উন্নয়নের জন্য বাস্তবভিত্তিক সমাধানে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে এ সংস্থা।

সম্পর্কিত পোস্ট