সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব

এবার শোভাযাত্রা ছাড়াই সারাদেশে হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। আর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে গেলেন স্বর্গলোকের কৈলাসে স্বামীর ঘরে। পরের বছর শরতে আবার তিনি আসবেন এই ধরণীতে যা তার বাবার গৃহ। প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সব ধরণের নিরাপত্তা নিয়েছে ডিএমপি পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ই অক্টোবর ২০২১) বিকাল ৪টায় বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নানঘাটে শাহজাহানপুর বাংলাদেশ রেলওয়ে পূজা কমিটির প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

ষষ্ঠী তিথিতে ‘আনন্দময়ীর’ আগমনে এ উৎসবের সূচনা হয়। দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হলো। দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে এসেছেন। গিয়েছেন পালকিতে চড়ে।

ঢাকের বাদ্য আর গান-বাজনা ছাড়া বিদায়ের করুণ ছায়ায় সারিবদ্ধভাবে একে একে বুড়িগঙ্গা নদীতে বিসর্জন দেয়া হয় প্রতিমা। একই সময়ে তুরাগ নদীতে চলছে বিসর্জন। রাজধানীর প্রায় অর্ধশত মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয় ওয়াইজঘাটে। সড়কে পুলিশের টহল, নৌপুলিশের টহল ছিলো। ফায়ার সার্ভিসের টিমও দায়িত্ব পালন করেছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এ বছর রাজধানী ঢাকায় ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা হয়েছে। আর ঢাকা মহানগরীতে এই সংখ্যা ২৩৮টি। তবে গত বছরের মতো এবছরও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিজয়া দশমীতে শোভাযাত্রা হচ্ছে না।

এর আগে গত ৫ই অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি বলেন, গত বছর সারাদেশে দুর্গাপূজার সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ২১৩টি।

এবার এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ১১৮টিতে। যা গত বছরের চাইতে এক হাজার ৯০৫টি বেশি। আর ঢাকা মহানগরে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ২৩৮টি যা গতবছর থেকে ৪টি বেশি।

সম্পর্কিত পোস্ট