সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী

  • বিশেষ প্রতিনিধি

বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তিতে রূপান্তর করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস সফলভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হব।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর ২০২১) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আন্তর্জাতিক সম্মেলন-২০২১’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের কথা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ-সম্ভ্রম হারানো শহীদ, মা-বোনদের স্মরণ করেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে প্রাণ হারানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মাগফিরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ভিত্তি হিসেবে তিনটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রথমত- অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিল্পের বিকাশ, দ্বিতীয়ত- প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীবাহিনী সৃষ্টি এবং তৃতীয়ত- পরিবেশ সংরক্ষণ।

জাতির পিতা শেখ মুজিব স্বাধীনতা অর্জনের পর মাত্র নয় মাসেই একটি সংবিধান প্রণয়ন করেছেন এবং এই তিনটি বিষয়কে রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন ১৬ অনুচ্ছেদে ‘জীবন যাত্রার মানের বৈষম্য দূরীকরণে গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতীকরণ, কুটির শিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ’, ১৭ (খ) অনুচ্ছেদে ‘সময়ের প্রয়োজনে শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নাগরিক সৃষ্টি’ এবং ১৮ (ক) অনুচ্ছেদে ‘বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ’। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত, এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিপুল সংখ্যক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিল্পোদ্যোক্তাসহ অনেকেই অংশগ্রহণ করেছেন। ৩ জন নোবেল বিজয়ী এবং ৬ জন খ্যাতিমান বিজ্ঞানী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন।

দুটি সাইড ইভেন্ট ‘মুজিব-১০০ আইডিয়া কনটেস্ট’ এবং ‘মুজিব-১০০ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সিবিট’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭টি দেশ থেকে মোট ৫২৫টি গবেষণাপত্র জমা হয়েছে এবং তার মধ্য থেকে ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

এছাড়া সহস্রাধিক আইডিয়া থেকে ১০টিকে সেরা হিসেবে বাছাই করা হয়েছে, যারা প্রত্যেকে ১০ লাখ টাকা পুরষ্কার পাবেন। আমি সকল অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানাই।

তিনি আরও বলেন, ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লব আন্তর্জাতিক সম্মেলন’ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমি আশা করি, এই সম্মেলনে অর্জিত জ্ঞান আমাদের শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি নিবিড় বন্ধন সৃষ্টি করবে।

ফলে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সম্পর্কিত গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে বাস্তবে রূপদান করা সহজতর হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট