সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে কুচকাওয়াজে সালাম নিলেন রাষ্ট্রপতি, উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের রাষ্ট্রপতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে জাতীয় প্যারেড ময়দানে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উদযাপনে সঙ্গী হয়েছেন প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২১) সকালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড ময়দানে বর্ণাঢ্য এই কুচকাওয়াজে মুক্তিযোদ্ধা কন্টিনজেন্ট, সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন শাখা ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতির তথ্য জানানো হয় অতিথিদের।

এবারই প্রথম বন্ধু দেশ ভারত, ভুটান,যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও মেক্সিকোর সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর কিছু পরে প্যারেড স্কয়ারে আসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের আয়োজনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, বিএনসিসি, বিজিবি, পুলিশ, র্যা ব, আনসার ও ভিডিপি, কোস্ট গার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা সুসজ্জিতভাবে এই কুচকাওয়াজে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন মিশনের প্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতির স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানমও কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে অভিবাদন মঞ্চের সামনেই রাখা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল একটি প্রতিকৃতি। দুই পাশে ছিল রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি।

নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক ছিলেন এবারের কুচকাওয়াজের অধিনায়ক। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা অভিবাদন মঞ্চে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।

পাকিস্তানি শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটাতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তা সফল পরিণতি পায় নয় মাস পর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে।

বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসের সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের চিরায়ত আয়োজনে উদযাপনের সূচনা হয়।

বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হবে এবারের মূল আয়োজন। বিকাল সাড়ে ৪টায় এ অনুষ্ঠানমালার সূচনা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচালনায় সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।

সম্পর্কিত পোস্ট