- নিজস্ব প্রতিবেদক
দিনে সবজি বিক্রি, মুদি দোকানি ও শ্রমিকের কাজ করলেও রাতে তারা হয়ে ওঠেন দুর্ধর্ষ ডাকাত। এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন স্বর্ণের দোকান, শিল্পকারখানা এবং ব্যাংকে ডাকাতি করত। সেই চক্রের ১০ জনে গ্রেফতার কতে সক্ষম হয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর ২০২১) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার কাঞ্চন ব্রিজ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-১।
গ্রেফতাররা হলেন হিটু মিয়া (৪০), ফরহাদ আলী (৫৮), লিটন শেখ (৩৮), রিপন মৃধা ওরফে জামাই রিপন (২৯), স্বপন মিয়া (২৭), জাকির ব্যাপারী (২৯), জলিল খাঁন (৪০), শ্রী লক্ষণ চন্দ্র দাস (২৬), শ্রী অজিত চন্দ্র সূত্রধর (২৭) ও ইখতিয়ার হোসেন (৪৭)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি শটগান ও ১টি পাইপগান, ২টি ম্যাগজিন, ৫ রাউন্ড গুলি ও নগদ ৩১ হাজার টাকা এবং দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের পেশাই ডাকাতি করা। এই ডাকাতদলের অন্যতম হোতা ফরহাদ হোসেন। এ চক্রের মধ্যে কেউ সবজি বিক্রেতা, কেউ দোকানদার ছিল।
মূলত তারা ডাকাতি করেই জীবিকা নির্বাহ করত। আমরা যেসব দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছি সেগুলো তারা ঢাকা থেকেই সংগ্রহ করেছে তারা। ফরহাদ ও হিটু মিয়ার কাছ থেকেই অস্ত্রগুলো পাওয়া গেছে। তারাই মূলত অস্ত্রের যোগানদাতা।
তিনি আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা দেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলায় বসবাস করে। ডাকাতির পূর্বে তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে একত্রিত হতো। ছদ্মবেশে ব্যাংক, স্বর্ণের দোকান, শিল্পকারখানার বাইরে অবস্থান করে ২-৩ জন ভেতরে প্রবেশ করে এবং মূল দলটি মাইক্রোবাসসহ সুবিধাজনক স্থানে অপেক্ষা করত।
এই চক্রের সদস্যরা একে অপরের যোগসাজশে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ১১টি ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ মডেল ও সাভার থানা, ডিএমপির শাহআলী, মতিঝিল ও ডেমরা থানা, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানা, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা, মানিকগঞ্জের ঘিওর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি মামলা রয়েছে।