সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ফেনীর মুজিব উদ্যানে জয়নাল হাজারীর দাফন সম্পন্ন

  • ফেনী প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর ২০২১) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফেনী পাইলট হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে তাকে শহরের মাস্টারপাড়ার মুজিব উদ্যানে দাফন করা হয়। এর আগে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে জয়নাল আবেদীন হাজারীর মরদেহবাহী ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্স ফেনীতে এসে পৌঁছায়।

এ সময় শেষবারের মতো তাকে দেখতে ফেনীর মাস্টারপাড়ার হাজী আবদুল গনি হাজারী বাড়ির সামনে ভিড় করেন তার অনুসারী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপর তাকে নেওয়া হয় তার বাড়ি শৈল কুটিরের মুজিব উদ্যানে। সেখানে সর্বসাধারণ তাকে শেষবারের মতো দেখতে যান।

ফেনী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারীকে  রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর ফেনী পাইলট হাইস্কুল মাঠে নেওয়া হয় হাজারীর মরদেহ। সেখানে বিকেল সাড়ে ৪টায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মুজিব উদ্যানে তাকে দাফন করা হয়।

গতকাল সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানী ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারী ইন্তেকাল করেন। একাধিক শারীরিক জটিলতা নিয়ে তিনি ২ সপ্তাহ ধরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

১৯৪৫ সালের ২৪ আগস্ট নানা হাবিবুল্লাহ পণ্ডিতের বাড়িতে জয়নাল হাজারীর জন্ম। হাবিবুল্লাহ একজন নামকরা পণ্ডিত ছিলেন। জয়নাল হাজারীর বাবার নাম গণি হাজারী আর মায়ের নাম রিজিয়া বেগম। জয়নাল হাজারী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

নানা কারণে সারা দেশে আলোচিত নেতা জয়নাল হাজারী ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। বির্তকিত কর্মকাণ্ডের জন্য ২০০৪ সালে হাজারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এর আগে ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ১৬ আগস্ট রাতে যৌথবাহিনী তার বাড়িতে অভিযান চালায়। তিনি তখন পালিয়ে ভারতে চলে যান। ২২ মামলার আসামি হয়ে দীর্ঘদিন তিনি আত্মগোপনে দেশের বাইরে ছিলেন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর একে একে তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা থেকে অব্যাহতি পান। ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর তিনি নতুন করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য হন।

ভারত থেকে দেশে ফেরার পর স্থানীয় রাজনীতিতে বর্তমান সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর সঙ্গে বিরোধের জেরে ২০১০ সাল থেকে ঢাকাতেই বসবাস করছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারী।

সম্পর্কিত পোস্ট