সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আজ জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ইতিবাচক আখ্যান তৈরি করার জন্য নীতিনির্ধারক, মিডিয়া ও সুশীল সমাজের সদস্যদের ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রসংশনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তার অংশীদারদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের সিমলায় ‘ভারতের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভিশন ফিরে দেখা’ শীর্ষক বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপের দশম রাউন্ডের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আলম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে যাতে প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব জনগণের কল্যাণে অগ্রসর হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার সম্পদ ও শক্তি উৎসর্গ করতে পারে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী এ অঞ্চল এবং এর বাইরেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের অটল অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ আয়োজিত এ সংলাপ শনিবার শেষ হবে।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপ প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে উভয় দেশের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও সুশীল সমাজসহ মূল স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করার একটি ফোরাম। ২০১৯ সালে কক্সবাজারে নবম দফা সংলাপের আয়োজন করা হয়েছিল।

উদ্বোধনী অধিবেশনে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য রাম মাধব উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংসদ সদস্য মির্জা আজম, অসীম কুমার উকিল, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান অন্যদের মধ্যে সংলাপে অংশ নিচ্ছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট