সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝালকাঠিতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

পৌষের শেষে হাড় কাঁপানো হিমেল বাতাসে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত ঝালকাঠির জেলার জনজীবন। হিমেল বাতাসের সাথে চলছে কুয়াশার দাপট। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে কস্ট করে।

প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। বিপাকে পরেছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া লোকজন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শীতের তীব্রতার কারণে উন্মুক্ত স্থানে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতার ছোয়া নিচ্ছেন।

এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীত নিবারনের জন্য বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা। ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া লোকজন জেলা বা উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন হাট বাজারের পুরোনো কাপড়ের দোকানে ভীড় করছেন শীতের পোশাক কিনতে। তাই সর্বত্রই জমে উঠেছে শীতের গরম কাপড় বেচাকেনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্রেতারা দোকান ঘুরে ঘুরে দরদাম করে এসব শীত বস্ত্র কিনছেন। বিভিন্ন বয়সের সকল শ্রেণি-পেশার ক্রেতাদেরকেই দেখা যাচ্ছে পুরানো কাপড়ের দোকানে। জেলা শহরের এক ব্যবসায়ী বলেন  নভেম্বর মাসে তাদের কেনাবেচা শুরু হয়েছে, চলবে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর গরম কাপড়ের দাম বেশী।

খেটে খাওয়া মানুষরা বলেন শীত নিবারনের জন্য ভালো পোষাক বা কম্বলের দাম সাধ্যের বাইরে। যেখানে পরিবারের ভরনপোষণ করাটাই কস্টদায়ক, সেখানে বাড়তি যোগান দেয়া তাদের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

অপরদিকে প্রত্যন্ত এলাকায় শীতের তীব্রতার কারণে বিভিন্ন বয়সের মানুষ উষ্ণতার ছোয়া পেতে উন্মুক্ত স্থানে আগুন জ্বালিয়েছেন। অগ্নি কুন্ডলীর চতুর্দিকে গোল করে পর্যায়ক্রমে হাতে আগুনের তাপ দিচ্ছেন। বৃদ্ধ শাহজাহান হাওলাদার বলেন, আজ (শুক্রবার) যে পরিমাণে শীত পড়েছে, তাতে শরীরের হাড় পর্যন্ত কেঁপে যায়। তাই রাস্তার আশপাশ থেকে ময়লা-আবর্জনা কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়েছি। এভাবে শৈত্যপ্রবাহ চলতে থাকলে শিশু ও বৃদ্ধদের অনেক কষ্ট হবে। জমবে শরীরে শীতকালীন রোগও।

সম্পর্কিত পোস্ট