আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন বলছে, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবে না। জনগণ যদি বিরোধীদলের পক্ষে থাকে। তাই আন্দোলন না করে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলন করার সুযোগ থাকে না। নির্বাচন ছাড়া আর কোন সুযোগ নেই। তাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলবো, এতো কথা না বলে, আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেন।বিএনপির আন্দোলন মনের সুখ, দিবাস্বপ্ন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কি বললো তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। ৬৯ এর পর ইস্যু ভিত্তিক কোনো আন্দোলন গড়ে উঠেনি। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, হয়েছে। কিন্তু তার দলের সাংগঠনিক ভিত্তি না থাকায় তেমন কোনো অভূত্থান হয়নি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যাওয়ার আগে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন শাখার সম্মেলন করতে হবে। কোথায় অসমাপ্ত সম্মেলন, সম্মেলন হলেও কমিটি হয়নি। সেখানে কমিটিগুলোর করে ফেলতে হবে। আমাদের যারা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা রয়েছেন। তাদের অধীনস্থ শাখাগুলোকে ডেকে ঢাকায় নিয়ে আসা। তাদের সঙ্গে বসে যেসব সমস্যাগুলো আছে, তা মিটিয়ে ফেলা। রমজান মাসে এ কাজগুলো করা যেতে পারে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকগুলো দেশে এবার নির্বাচন হবে। পাকিস্তানে নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু নানা টানাপড়েনে সরকার গঠন করতে পারেনি। কিন্তু নানা ষড়যন্ত্রে মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে নির্বাচন হয়েছে। সরকার গঠন হবে। পরে নারী সংরক্ষিত আসনেও আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি তারা মনোনয়নপত্র ইসিতে জমা দেবেন। যারা মনোনীত হয়েছেন, তারা সবাই ত্যাগি। সবাই যোগ্য। কিন্তু যারা বেশি ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। যারা মনোনীত হননি। তারা দুঃখ পেয়েছেন। কিন্তু আগামীতে তাদের ত্যাগকে মূল্যায়ন করতে হবে। সব নেতাদের লড়াই করে এখানে আসতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সারা বিশ্ব প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সাঁতার কাটছে। জাপানের মতো দেশেও অর্থনীতির মন্দা চলছে।
তিনি বলেন, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেছেন। এর আগে কখনো বাংলাদেশ এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাননি। এটা তার যোগ্য নেতৃত্ব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা।