নোয়াখালীর সেনবাগে শুক্রবার ভোর রাতে নিজ কন্যাসহ প্রাক্তন স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করেছে আমির হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। সে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের এতিম আলী জমাদার বাড়ির সফি উল্যার ছেলে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৬০), তার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৩৮) ও নাতনী রাবেয়া আক্তার (১৮)।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ীর উপজেলার আমির হোসেনের সাথে ২৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সেনবাগ উপজেলার ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমা বেগমের। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান আছে। তাদের সংসারে কলহ দেখা দিলে তিন বছর আগে আমির হোসেন ও ফাতেমা বেগমের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিচ্ছেদের পর ফাতেমা দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশেই বাড়ি করে বসবাস শুরু করে।
শুক্রবার ভোর রাতের দিকে ফাতেমা ও তার মা মাফিয়া নামাজ পড়তে উঠে। এ সুযোগে আমির হোসেন আকস্মিক তাদের ঘরে ঢুকে দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে প্রাক্তন স্ত্রী ফাতেমা, শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়াকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাফিয়া বেগম ও ফাতেমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সেনবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন গনমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।