সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

২৫ মার্চের কালরাতের স্মরণে ১ মিনিট অন্ধকারে পুরো দেশ

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের গণহত্যার স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও এক মিনিট অন্ধকারে থাকলো পুরো দেশ।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত আলো নিভিয়ে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হয়। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।
২৫ মার্চ রাতে এক মিনিট আলো নিভিয়ে ভয়াল রাতকে স্মরণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। যদিও অন্যান্য বছরগুলোতে রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত আলো নিভিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হতো। কিন্তু এবার রমজান মাসের কারণে এটি রাত ১১টায় করা হলো বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি স্থাপনায় রঙিন বাতি লাগানো হলেও কালরাতের স্মরণে তা আজ বন্ধ রয়েছে। কারণ ২৫ মার্চ রাতে আলোকসজ্জা না করার জন্য নির্দেশনা ছিল মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির গ্রহণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে হয়েছে ‘পলিটিক্স অব জেনোসাইড রিমেম্বারেন্স’ শীর্ষক সেমিনার।
সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া, স্কুল, কলেজ এবং মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়গুলোতে প্রার্থনা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের এই রাতে ঢাকায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বর্বর সামরিক অভিযানের মধ্যদিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ রাতের আঁধারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পুরো ঢাকাজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।

সম্পর্কিত পোস্ট