সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিরা প্রভাব খাটাতে পারবেন না: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়াদুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে আমি এমপি আমার প্রভাব দেখাবো সেটা হবে না। সে এমপি মন্ত্রী হোক না কেন। কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। কেউ প্রশাসনের মাধ্যমে প্রভাব খাটাতে পারবেন না। নির্বাচন সম্পূর্ণ ভাবে ফ্রি এণ্ড ফেয়ার করতে চাই। তিনি বলেন,উপজেলা নির্বাচন আপনাদের অনুরোধে প্রতীক না রেখে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমরা দেখতে চাই। এরমধ্যে দিয়ে নির্বাচন কতটা প্রতিযোগিতা পূর্ণ হয়। কতটা ফেয়ার হয়।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ফ্রি স্টাইলে দল চলবে না। যার যখন খুশি দায়িত্ব হীন বক্তব্য রাখবেন তার দায় দল বহন করবে না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের জেলার সঙ্গে উপজেলা, উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়ন। কোথায় দেয়াল থাকতে পারবে না। দেয়াল ভেঙে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে বিএনপি কি বললো না বললো, তাতে দেশের রাজনীতি চলবে না। ৪২ ভাগ ভোটার নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে যারা কথা বলতো, আতংক ছড়িয়েছে। তারাও বুঝতে পেরে বাংলাদেশের সঙ্গে এক যোগে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিএনপির মুখে এতো বিষ, একটা রাজনৈতিক দল এভাবে বলতে পারে তা ভাবা যায় না। যে যাই বলুক আমাদের ভেতরের খবর আমরা জানি। অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা করার কোনো অবকাশ নেই। আপনারা অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করবেন না।

মন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের পাশে সব সময় আছে। ৭১ সালে ভারত আমাদের পাশে ছিল। এখানো পাশে আছে। ভারতের এটাই অপরাধ। তাই বিএনপি ভারত বিরোধীতায় নেমেছে। আমরা বিভ্রান্ত হবো না। আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি বলেছে, ৮০ ভাগ নেতাকর্মীরা নির্যাতিত। তাদের তালিকা প্রকাশ করুন। মিথ্যার রাজনীতি বেশি দিন থাকে না। শেখ হাসিনার পজেটিভ রাজনীতি বিএনপির রাজনীতি অন্ধকারে দিকে ঠেলে দিয়েছে।

রংপুর বিভাগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রংপুর বিভাগ থেকে আমরা শুরু করছি। প্রতিটি জেলা উপজেলা সাংগঠনিক তৎপরতা বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা জানেন। নেত্রীর নির্দেশনায় অনুযায়ী রংপুর বিভাগের নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসতে বলা হয়েছে। আপনাদের সাংগঠনিক সমস্যা থাকলে বলবেন। আওয়ামী লীগ বড় বড় দল। তাই সমস্যা থাকবে। তবে সমস্যা থাকলে সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যহত হয়। নির্বাচনের পর সভাপতির নিদর্শে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছি।দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। কোনো সমস্যা থাকলে নিজেরা সমাধান করবেন। না পারলে আমাদের বলবেন। ঘরের সমস্যা ঘরেই মেটাতে হবে।

জাতীয় নির্বাচনে কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পূনরাবৃত্তি না ঘটে।  কিছু কিছু বক্তব্য দলের জন্য লজ্জাজনক। কথা বলার আগে সাবধান হতে হবে। দায়িত্ব শীল ব্যক্তি যেন দায়িত্ব হীন কথা না বলি। কমিটি করবেন, যারা দলের ত্যাগি তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি গঠন করতে হবে। নিজের ইচ্ছায় কমিটি গঠন করা চলবে না। তৃণমূলের কোনো কমিটি অব্যহতি দিতে হলে কেন্দ্রকে জানাতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন,জাতীয় নির্বাচনের পর ৮১ দেশ ও ৩২ টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আপনি ঘরে শত্রু থাকলে বাইরের শত্রু প্রয়োজন হয় না।

সম্পর্কিত পোস্ট