দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটির সিঙ্গাপুর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পশ্চিম প্রান্তে আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ক্যাবলের মাধ্যমে কুয়াকাটা-সিঙ্গাপুর অভিমুখী সব ট্রাফিক বর্তমানে বন্ধ আছে। কুয়াকাটাস্থ সি-মি-উই-৫ সাবমেরিন ক্যাবল পুনরায় মেরামত করে চালু না হওয়া পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেটের গতি ধীর থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান এ তথ্য জানান।
সাইদুর রহমান জানান, শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির আওতাধীন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটির সিঙ্গাপুর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পশ্চিম প্রান্তে আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ক্যাবলের মাধ্যমে কুয়াকাটা-সিঙ্গাপুর অভিমুখী সব ট্রাফিক বর্তমানে বন্ধ আছে। সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে ক্যাবলটি মেরামত করে দ্রুত পুনঃসংযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কক্সবাজারে অবস্থিত সি-মি-উই-৪ সাবমেরিন এবং আইটিসি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট সেবা প্রদান অব্যাহত আছে এবং সি-মি-উই-৫ এর বিচ্ছিন্নকৃত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সি-মি-উই-৪ ক্যাবলে শিফটিং করা হচ্ছে। তবে সি-মি-উই-৫ সাবমেরিন ক্যাবল পুনরায় মেরামত করে চালু না হওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি ধীর থাকতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি।
বিএসসিপিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। শনিবার বিকেলের মধ্যে জানা যাবে, এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে।
এদিকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টার পর এ সমস্যা শুরু হয়। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকরা ইন্টারনেটের এ ধীরগতি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, গ্রাহকরা আমাদেরকে ফোন করে ইন্টারনেটে ধীরগতির অভিযোগ করছেন। আমরা তাদেরকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করছি।