সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাবিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা

সম্প্রীতি বাংলাদেশ- এর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস অডিটরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, বাংলাদেশ শান্তি ও সম্প্রীতির দেশ। এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি তৎপর রয়েছে। এই অপশক্তিকে মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার জন্য তরুণ প্রজন্মসহ সকলের প্রতি আহবান জানাই।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২৫ মার্চ যখন হানাদার বাহিনী আমাদের নিরস্ত্র বাঙ্গালীর উপর ঝাপিয়ে পড়ল, ঢাকা শহরেই লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গেলো। আপনারা ছবিতে দেখতে পাবেন এ চিত্র। তখন ২৫ মার্চের এ আঘাতের পর তাজউদ্দীন সাহেব ২৯/৩০ তারিখের দিকে বর্ডার ক্রস করেছিলেন। তিনি কিন্তু পালিয়ে নয়, বঙ্গবন্ধুর পূর্ব নির্দেশে তিনি সেখানে অবস্থা বুঝে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে গিয়েছিলেন। তিনি কিন্তু সোজা গিয়ে বর্ডার ক্রস করেন নি। তিনি বসে ছিলেন বর্ডারে। তিনি চাইছিলেন এভাবে চোরের মতো বর্ডার ক্রস করবেন না, ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করতে হবে এবং যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণে সহযোগিতা করতে হবে এবং তাই করা হয়েছিল। এভাবেই মুজিবনগর সরকার গঠনের শুরুটা হয়েছিল।
সম্প্রীতির জন্যে শিক্ষার্থীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আমাদের সাথে সম্প্রীতির জন্যে কাজ করছেন আমার বিশ্বাস এখানকার শিক্ষার্থীরাও আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড.বিমান চন্দ্র বড়ুয়া মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুজিব নগর সরকার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ আন্দোলন-সংগ্রাম, অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং অসাম্প্রদায়িক নেতৃত্বের কারণে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাবির ফার্মেসী অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ড. সোমেন ভারতিয়া (আসাম), ড. রীতা চৌধুরী (আসাম), অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. অসীম সরকার এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট