সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে কাজ করছি : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

আমি গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে কাজ করছি। গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে এটি মোটামুটি সবকিছু কাভার করে ফেলবে। কারণ এখানে অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মোটামুটি সবকিছুই কাভার করবে। গণমাধ্যমের সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উম্মোচন শেষে সদস্যদের সাথে মতবিনিময় কালে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শ্রম আইনের অধীনে যত সুরক্ষা দেওয়া আছে সেগুলোকে রেখে বাকী বিষয়গুলো গণমাধ্যমকর্মী আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে।

সচিবালয় বিটে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম’ (বিএসআরএফ)-এর প্রকাশনা বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উম্মোচন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ক্রোড়পত্র দেই তা কিন্তু ডিএফপির লিস্ট দেখে দিচ্ছি না। বিশেষ সোর্সের মাধ্যমে সার্কুলেশনের তথ্য নিয়ে তিনি নিজে একটি লিস্ট বানিয়েছেন। যেটি তাকে মোটামুটি সঠিক একটি সার্কুলেশনের চিত্র দিয়েছে, তার ভিত্তিতে তিনি সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন। \
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সিদ্ধান্ত সার্কুলেশনের ওপর ভিত্তি করে নেই। কারণ এখানে সরকারের স্বার্থ আছে, বেশিরভাগ মানুষের হাতে এটি আমি পৌঁছাতে চাই। বাকি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সিদ্ধান্ত পত্রিকা ও সম্পাদকের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ব্রান্ডিং দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ কিছু পত্রিকা আছে সার্কুলেশনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও কিন্তু তার একটি ইতিহাস ঐতিহ্য আছে।
আবার কিছু পত্রিকা আছে সার্কুলেশনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও সেখানে নামকরা সম্পাদক আছেন, যার নিজের ইতিহাস-ঐতিহ্য ব্র্যান্ডিং আছে, এগুলোকে যাচাই বাছাই করে ব্যালেন্স করে ক্রোড়পত্র দিয়েছি, কোনো ব্যক্তির সুপারিশে ক্রোড়পত্র দেইনি। অনেকে সুপারিশ করেছে নিয়েছি, দেখেছি, কিন্তু দিন শেষে আমার যে ফর্মুলা সেটি অ্যাপ্লাই করেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারা কত ক্রোড়পত্র পেয়েছে তা এক্সেল সিটের মাধ্যমে মেইন্টেইন করি। কাছাকাছি সার্কুলেশনের দুটি পত্রিকার মধ্যে একটি পত্রিকা কম পেলে পরে তা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করি। আমি ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করি।
মতবিনিময়কালে ডিএফফির সার্কুলেশনের তালিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমি ইতিমধ্যে কাজ করছি। বিষয়টি একটু জটিল। জটিল এই কারণে যে সংখ্যা নির্ণয় করার যে ফর্মুলাটা আছে তার মধ্যেও কিছু গলদ আছে, সেটিকেও ম্যানুপুলেট করা যায়। যদি বলি ফর্মুলা অলরেডি আছে সেটি দিয়ে সঠিক তালিকা করে ফেলব, এরমধ্যেও দেখা যাবে সঠিক হয়ত অনেক কিছু হবে না। কারণ পেছন দিকে ম্যানুপুলেশন সমস্যা। যে কারণে আমি ফর্মুলাটা নিয়ে কাজ করছি।
ডিএফপিতে নতুন ডিজি নিয়োগ দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আরাফাত বলেন, যারা সার্কুলেশনের কাজ করে তাদেরকে নিয়ে আমি বসব। ফর্মুলাকে একটি ফাইনটিউন করে একটি ফর্মুলা আনার যে সত্যিকার অর্থে সার্কুলেট, অর্থাৎ শুধু প্রিন্ট করলে হবে না, বিক্রিত নাম্বারটা আমরা পাওয়ার ফর্মুলা বের করব, যেখানে ম্যানুপুলেশনের সুযোগ থাকবে না। আমার কাছে আসল লিস্টটা যাতে থাকে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ এর সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকাশনা কমিটির আহবায়ক ও বিএসআরএফ-এর সহ-সভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান),  বিএসআরএফ-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিমসহ সংগঠনের অন্য নেতৃবৃন্দ।

সম্পর্কিত পোস্ট