সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রিমালের প্রভাবে চাঁদপুরে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে চাঁদপুরে বাতাসের গতি ও বৃষ্টি বেড়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিচু এলাকায় বৃষ্টি পানি জমে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া শহরের অনেক সড়কে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখছেন পথচারীরা।
সোমবার (২৭ মে) ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের গতি রয়েছে ৬৪ কিলোমিটার। গতকাল (রোববার) মধ্যরাত থেকে চাঁদপুর-ঢাকাসহ সব নৌ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) বৃষ্টির কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শহরের লঞ্চঘাটের প্রবেশ এলাকা মাদ্রাসা রোডে বাতাসে গাছ উল্টে সড়কে পড়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলোতে যানবাহন সংখ্যা খুবই কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এছাড়া মেঘনার পশ্চিমাঞ্চলে চরাঞ্চলের সড়ক ও বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার ফয়সাল চৌধুরী জানান, রোববার (২৬ মে) বিকেল ৫টা থেকে চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। উভয় পাড়ে প্রায় ৬০টি গাড়ি রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ এর জিএম মো. আতিকুজ্জামান চৌধুরী বলেন, রোববার রাত থেকেই ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে এলে সংযোগ সচল করতে কাজ শুরু হবে। চাঁদপুর  পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ এর আওতায় কচুয়া, শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ গ্রাহক রয়েছেন। এদের মধ্যে ২ লাখ  গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ এর জিএম রাশেদুজ্জামান পিস বাংলাকে বলেন, রোববার দিবাগত রাত ৩টা থেকে বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে এলে সংযোগ সচল করতে কাজ শুরু হবে। চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ এর আওতায় চাঁদপুর সদর, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর এবং দক্ষিণ উপজেলায় ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৭৫ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে শনিবার (২৫ মে) দিনগত রাত ১২টার পর চাঁদপুর থেকে লঞ্চসহ সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। নৌ বন্দর এলাকার জেলে নৌকা, লাইটার জাহাজ ও যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।

চাঁদপুর জেলা আবহাওয়া বিষয়ক কর্মকর্তা শাহ্ মো. শোয়াইব জানান, আজ (সোমবার) ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের গতি রয়েছে ৬৪ কিলোমিটার। যেহেতু বাতাসের গতি ও বৃষ্টি অব্যাহত যে কারণে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়বে। চাঁদপুরকে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট