শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দ্বিতীয়বার কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কানাডাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে  উঠল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল আর্জেন্টিনা।

বুধবার (১০ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোপার ফাইনালে উঠেছে মেসি-বাহিনী।

এদিন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতে নামা কানাডা পুরো ৯০ মিনিট খেলে কেবল দুইটি শট টার্গেটে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কানাডার রক্ষণভাগের ফুটবলারদের ব্যস্ত সময় পার করতে হয় মেসি-আলভারেজদের সামাল দিতেই।

নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে তৃতীয় মিনিটে ম্যাচের প্রথম কর্নার আদায় করে নেয় কানাডা। কাইল লারিনের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ-প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে জ্যাকব শাফেলবার্গ যে শটটি নেন, তা চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। পরে ম্যাচের ১২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের পোস্টে প্রথম শট নেয় আর্জেন্টিনা। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে কানাডা বক্সের কাছে এসে লিওনেল মেসিকে পাস দেন ডি মারিয়া। তবে মেসির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

ম্যাচের ২৩ মিনিটে এসে কাঙ্ক্ষিত লিড পায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠ থেকে অনেকটা ফাঁকায় আলভারেজের দিকে বল বাড়ান ডি পল। বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে জালের দেখা পান আর্জেন্টাইন নম্বর নাইন। প্রথমার্ধে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন লিওনেল মেসিও। তবে তার শট গোলবারের বাইরে চলে যাওয়ায় স্কোরশিটে নাম তোলা হয়নি বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারের। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে কানাডার জোনাথন ডেভিডের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।

বিরতির পর ৫১ মিনিটে কানাডা গোলটি হজম করে নিজেদের রক্ষণের ভুলে। মেসি বক্সে থাকা অবস্থায় কানাডার এক ডিফেন্ডার রক্ষণে বেশি নিচে নেমে যাওয়ায় আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে আর অফসাইড নিয়ে ভাবতে হয়নি। এনজো ফার্নান্দেজ বক্সের জটলার মধ্যে শট নিলে মেসি তাতে শুধু পা ছুঁইয়েছেন। আর তাতেই ২-০ গোলের লিড পায় তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। গেল আট কোপার মধ্যে ষষ্ঠবার ফাইনালে উঠলো তারা।

২০১৫ সাল থেকেই কোপা আমেরিকার ফাইনালে নিয়মিত মুখ আর্জেন্টিনা। মাঝে বাদ গিয়েছিল শুধু ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকা। ২০২১ সালে শিরোপাটাই জয় করে তারা। এবার তাদের সামনে সুযোগ টানা দুইবার কোপা আমেরিকা জয়ের। যে জয় পেলে ফুটবলের বিরল এক রেকর্ডে নাম উঠবে আর্জেন্টিনার।

দুই মহাদেশীয় আসর আর এক বিশ্বকাপ টানা জয়ের কীর্তি এর আগে আছে কেবল স্পেনের। ২০০৮ সালের ইউরো, ২০১০ বিশ্বকাপ এবং ২০১২ সালের ইউরো জয় করেছিল স্পেন। এবার সেই সুযোগ আর্জেন্টিনার সামনে। আগামীকালের উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে ফাইনালে নামবে লিওনেল মেসির দল।

সম্পর্কিত পোস্ট