বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা বন্ধে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের বিষয়ে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এই গণহত্যার বিরুদ্ধে আমাদের (মুসলিম উম্মাহ) ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সোমবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশে মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি যখনই কোনো বিদেশি দেশ বা কোনো ফোরামে গিয়েছেন তখনই ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে কথা বলেছেন এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনে ব্যয়িত অর্থ মানবজাতির কল্যাণে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এটি পুরো বিশ্বের জন্য আরও বেশি কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।’
বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আশানুরূপ বাড়েনি বলে বৈঠকে বলেন তিনি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮০.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (রপ্তানি ৩০.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও আমদানি ১৫০.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কৃষি, বস্ত্র, ওষুধ, পর্যটন ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হতে পারে।
মিসরের রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিলিস্তিনের গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহর আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনার মতো নেতা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই প্রয়োজন।’
মিশরের গ্র্যান্ড ইমাম- যার পদমর্যাদা মিশরের সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদার সমতুল্য, তিনি বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী বলে জানান রাষ্ট্রদূত। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ।
দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে নিজ দেশের আগ্রহের কথাও ব্যক্ত করেন মিশরের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, অন্যান্য সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও প্রশংসনীয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথাও স্মরণ করেন তিনি।
এ সাক্ষাতে আরও ছিলেন অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

সম্পর্কিত পোস্ট