সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শোকাবহ আগস্টের আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী কর্মসূচি

শোকাবহ মাস আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে শুরু। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত হয় ইতিহাসের ভয়াবহতম হত্যাকাণ্ড। এ দিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পক্ষ থেকে শোকের মাসের কর্মসূচি পালন করা হবে। শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক এবং সব সহযোগী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অনুরূপ মাসব্যাপী কর্মসূচি পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সব শাখার নেতাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআনখানি, দোয়া ও মোনাজাত, আলোর মিছিল, মোমবাতি প্রজ্বালন, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, আলোচনা ও শোক সভা, কালো ব্যাজ ধারণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, বৃক্ষরোপণ, মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ ইত্যাদি।
বুধবার রাত ১২ টায় ১ মিনিটে ১ আগস্টের প্রথম প্রহরে ধানমন্ডি বত্রিশস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণ শোকের মাসের প্রথম প্রহরে ধানমন্ডি বত্রিশ নং সড়ক ধরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অভিমুখে আলোর মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। ঐতিহাসিক ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর সড়কে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও খাদ্য বিতরণ করে মৎস্যজীবী লীগ ঐতিহাসিক ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর সড়কে আলোক প্রজ্জ্বলন করে ছাত্রলীগ।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়াম কালো ব্যাজ ধারণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে কৃষক লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতক চক্র বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করে। সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, সেরনিয়াবাতের ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আবদুল্লাহ, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান সামরিক সচিব কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ এবং কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নৃশংসভাবে নিহত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘদিন বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্কের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়। অবশেষে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট