শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গণভবন ও সংসদ তছনছ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন এমন খবরে গণভবনে প্রবেশ করতে থাকে৷ বেলা বাড়ার সঙ্গে চতুর্দিক থেকে আসা জনতার স্রোত লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গণভবনের সব গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তারা। সন্ধ্যায় আগে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।

সোমবার (০৫ আগস্ট) বিকেল ৩টা থেকে গণভবনের পাশে জাতীয় সংসদ ভবনের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বিক্ষুব্ধরা। যুবকরা সংসদের ছাদে উঠে উল্লাস করতে থাকে।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতি সোমবার বেলা আড়াইটায় দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপরই গণহারে লুটপাট ভাংচুর তসরুপ চলে গণভবন ও সংসদে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গণভবন থেকে লুটপাট করা হয় নামীদামী জিনিসপত্র। সাধারণ মানুষ গণভবনে ঢুকে টেলিভিশন, ফুলের টব, বালতি, মাছ, মাংস নিয়ে বের হতে দেখা যায়। গণভবনে ঢুকে যে যার যার মতো করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যবহৃত সকল সম্পদ নিজের মতো করে নিয়ে যান। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী ও তার ভবনে বিভিন্ন দায়িত্বে কর্মরতদের জন্য সোমবার দুপুরের জন্য যে খাবার তৈরি করা হয়েছিল, সেই খাবার খেয়ে সাফা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী গণভবনে রান্না করা বিরানি ও গোশত খেয়ে ফেলছেন। শেখ হাসিনা শখের বসেই তার বাসভবনে হাঁস-মুরগি-কবুতর মাছসহ বিভিন্ন পশুপাখি লালন পালন করতেন। সেগুলো যে যার যার মতো করে নিয়ে নেন। অনেককে সাতার কাটতে দেখা যায় গণভবনে সুইমিংপুলে।
গণহারে লুটপাটের এক পর্যায়ে ছাত্ররা মাইকে ঘোষণা দেয় কেউ যাতে মালামাল আসবাবপত্র তসরুপ না করে। তাতেও কাজ হয়নি৷ যে যা পারে ইচ্ছেমতো জিনিসপত্র নিয়ে যায়৷ নেওয়ার পর সবাই বাধভাঙ্গা উল্লাস করে। ছবি ভিডিও ধারণ করে নৃত্য করতে দেখা যায় অনেককে।
এর আগে, বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা উড্ডয়ন করেন। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানা সঙ্গে ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট