সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার হবে: আইন উপদেষ্টা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক  উপদেস্টা ড: আসিফ নজরুল।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিদায়ী প্রধান মন্ত্রীসহ অন্য কেউ যদি হুকুম দিয়ে থাকেন তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।

আইন উপদেস্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে সরকার পতনের আন্দোলনে যে ‘গণহত্যা ও গুলিবর্ষণ’ হয়েছে, তার বিচারের জন্য তদন্ত জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার প্রক্রিয়া চলছে।

আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশি কিছু মামলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজপথে থাকা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, জনগণের বিভিন্ন গোষ্ঠী দাবি করেছেন- এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচার করা যায় কিনা। আমরা সেটা খতিয়ে দেখেছি।

আমরা জানাতে চাই, আমাদের ১৯৭৩ সালের যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট আছে; যা পরে ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে সংশোধনী হয়েছে। সেই আইনে জুলাই গণহত্যা;  আগস্ট মাসের প্রথম পাঁচ দিনের গণহত্যার বিচার সম্ভব। এর জন্য দায়ী যে ব্যক্তিরা আছেন, তাদের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য আমরা ইতিমধ্যে ছোটোখাটো একটা গবেষণা করেছি।

তাতে দেখেছি, এই আইনের অধীনে জড়িতদের; অর্থাৎ যারা আদেশ দিয়েছেন, বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের সকলকে বিচারের আনা সম্ভব। বিদায়ী প্রধান মন্ত্রীসহ অন্য কেউ যদি হুকুম দিয়ে থাকেন তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি আছে, প্রসিকিউশন টিম আছে। এগুলোকে আমরা রি-অর্গানাইজ করার চেষ্টা করছি।’

এই তদন্ত জাতিরসংঘের তত্ত্বাবধানে চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ থেকে আমাদের বারবার সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমরা বিচারে সত্যিকারের স্বচ্ছতা-নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কাজ করবে।’ তদন্ত জাতিসংঘের ‘সর্বাত্মক তত্ত্বাবধানে’ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আইন উপদেস্টা জানান, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে করা সব হয়রানিমূলক মামলা আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে। আর ১৫ আগস্ট এর মধ্যে ঢাকার সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট