সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, কার্যক্রম সীমিত

দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ খুললেও সীমিত পরিসরেই চলছে শ্রেণি কার্যক্রম। প্রতিটি স্তরের শ্রেণিকক্ষেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম।
প্রায় এক মাস পর বুধবার (১৪ আগস্ট) প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা যখন শ্রেণিকক্ষে তখন দেশের ইতিহাসই বদলে গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ভয় আর আতঙ্ক নিয়েই বিদ্যালয়ের পথ ধরতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অভিভাবকরা অনেকেই সন্তানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো নিয়ে চিন্তায় আছেন। তারা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা উচিত।
দেখা গেছে, বেশির ভাগ শ্রেণিকক্ষই প্রায় শিক্ষার্থীশূন্য। শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির মাঠসহ আশপাশের গলিগুলোতে নেই চিরচেনা সেই কোলাহল। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘিরে গড়ে ওঠা রাস্তার ধারের খাবার দোকানগুলোও প্রায় নেই বললেই চলে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে এক পর্যায়ের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
শিক্ষকরা জানান, অনেকের মধ্যে এখনও আতঙ্ক কাজ করছে। অনেকে আবার সরকারি ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছে যে- কবে স্কুল খুলে দেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি অনেক কম। গড়ে ১০-১১ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছে। ফলে স্বাভাবিক পাঠদানে ফেরা যাচ্ছে না।
এদিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ক্লাস শুরু হয়নি। তবে প্রতিদিনই হলে শিক্ষার্থীরা উঠছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্যসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে একে একে পদত্যাগ করছেন শিক্ষকরা। বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

সম্পর্কিত পোস্ট