বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ১৫ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে শোক প্রকাশে ঘটে যাওয়া বিতর্কিত কাজ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ তথ্য জানান তিনি।
সমন্বয়ক সারজিস বলেন, ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ পুলিশের মাধ্যমে হেজাফতে ইসলামের সমাবেশের সময় কান ধরে ওঠবস করানোর সংস্কৃতি শুরু করেছিল। তবে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) কান ধরে ওঠবস করানো ও মোবাইল চেক করাসহ ঘটে যাওয়া কিছু কাজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক এক প্রশ্নে সারজিস বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার অধিকার কারও নেই। বিগত ১৬ বছর গণমাধ্যমকে সত্য বলতে দেয়া হয়নি। গতকাল গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরা আমাদের কেউ নয়।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক দিবস পালন করা উচিত নয়। তবে কেউ যদি শোক প্রকাশ করতে চায়, ফুল দিতে চায়, সেখানে বাধা দেয়াও উচিত নয়। সারজিস যোগ করেন, এখন অনেক ভুয়া সমন্বয়ক দল তৈরি হয়েছে। যার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সমন্বয়ক সারজিস আরও বলেন– বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান; তারা সম্মানিত মানুষ। তাদের সম্মান দিতে হবে। শোক প্রকাশে বাধা কোনোভাবেই সমর্থন করে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সারজিস আলম বলেন, সড়কে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। এখন আর ট্রাফিকের কাজ শিক্ষার্থীদের করার প্রয়োজন নাই। শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্পষ্ট বার্তা- আপনারা আর সড়কে থাকবেন না। এখন সময় এসেছে পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার।