সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতে বসে শেখ হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

ভারতে বসে ফ্যাসিবাদ সরকারের প্রধান ও হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা শেখ হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নারায়ণগঞ্জে মো. আমানতের জানাজায় অংশগ্রহণ শেষে সার্কিট হাউজে গিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আজকে বাংলাদেশে উস্কানিমূলক পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা রুখে দিয়েছে। সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরও প্রয়োজন পড়েনি। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই দেশকে অস্থিতিশীল যে কোনো চেষ্টা পরাজিত শক্তি করে বাংলাদেশের জনগণই তা রুখে দিবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেটি রক্ষা করার দায়িত্ব তারাই নিবে। আবারও আমানত ভাইয়ের মতো শহীদদের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের দায়িত্ব শহীদদের সম্মান রক্ষা করা এবং বাংলাদেশ গড়ে তুলার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এই আন্দোলনে সারাদেশে সহস্র শহীদ প্রায় ২০ হাজার আহত হয়েছে। অনেকের অঙ্গহানি হয়েছে অনেকে সারা জীবনের অন্ধ হয়ে গেছেন। এই ত্যাগ তিতিক্ষার বদলে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নারায়ণগঞ্জের আমানত ভাই আমাদের হাতে বাংলাদেশকে আমানত রেখে গেছেন। তিনি তার জীবন দিয়ে আমাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন বাংলাদেশকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য।
তিনি আরও বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ গড়ার পথে একসাথে চলবে। যারা আমাদের ভাইকে শহীদ করেছে আহত করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করা হবে। যেই হুকুমের আসামিরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে আরও অনেককেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজছে দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে তাদের দায়িত্বে আসা শুরু করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এগিয়ে আসছেন। যারা হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী তাদের গ্রেফতার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তরুণ সমাজের প্রতিনিধি এবং এই গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে বলবো; যে আকাঙ্খার ভিত্তিতে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে এবং মানুষ যেই পুরো রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্দেশ্য রাজপথে নেমে এসেছিলো তা পূরণ করা এবং বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। মানুষের কথাগুলো এবং ছাত্রদের কথাগুলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরবো এবং বাস্তবায়ন করবো।

সম্পর্কিত পোস্ট