সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

রাশিয়ায় সামরিক অফিস স্থাপন করল ইউক্রেন

রাশিয়ায় অনুপ্রবেশ করে লড়াই অব্যাহত রেখেছে ইউক্রেনের সেনারা। আশ্চর্যজনকভাবে তারা রুশ সেনা হটিয়ে বেশকিছু এলাকা দখলে নিয়েছে। সেখানে একটি সামরিক অফিস স্থাপন করে শুরু করেছে কার্যক্রম।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম কুরস্ক অঞ্চলে সামরিক প্রশাসনিক কার্যালয় স্থাপন করেছে ইউক্রেন। দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেনারেল অলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং এলাকার মানুষদের তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটাতে অফিসটি কাজ করবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে জেনারেল সিরস্কিকে এক বলতে দেখা যায়, অফিসটি ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে। ওই সভায় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি সভাপতিত্ব করেন।

এদিকে এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ বলেছেন, মস্কো এই অঞ্চলের মানুষদের সুরক্ষা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অঞ্চলটি শত্রুমুক্ত করতে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হবে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিন কুরস্ক অঞ্চল শত্রুমুক্ত করতে তিন দিক থেকে আক্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কুরস্কের সীমান্ত শহরগুলোতে ব্যাপক সেনা সমাগম ঘটানো হয়েছে। অত্যাধুনিক আর্টিলারি সরঞ্জাম সেখানে জড়ো করা হচ্ছে। যে কোনো সময় সমন্বিত আক্রমণ করা হতে পারে।

তবে রাশিয়া তার নাগরিকদের রক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্যই আক্রমণের ভয়ংকর ছক কার্যকর করা যাচ্ছে না। কিন্তু দেশের ভূখণ্ড ইউক্রেনের কবল থেকে উদ্ধারে বড় ধরনের আক্রমণ অপরিহার্য।

রাশিয়ান কর্মকর্তারা ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী এবং অবকাঠামো রক্ষার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থার পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিও অনুসারে, এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে বেলগোরোড অঞ্চলে সেনাদের কৌশলগত ব্যবস্থাপনা উন্নত করা হয়েছে। এ অঞ্চলের পাশেই কুরস্কতে ইউক্রেন ঘাঁটি গেড়েছে।

বেলগোরোড অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখান থেকে অন্তত ১১ হাজার সাধারণ মানুষ সরিয়ে এনেছে মস্কো। এ ছাড়া ব্রায়ানস্ক ও কুরস্ক অঞ্চল থেকেও যথাসাধ্য মানুষ সরানোর চেষ্টা চলছে। ভয়াবহ যুদ্ধের আগে মস্কোর এ পরিকল্পনা সফল হলে ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডের মতো কুরস্কতেও বিমান হামলা করা হতে পারে।

এদিকে মস্কোও দাবি করেছে, তারা কিছু হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছে। স্থল অভিযান চালিয়েই কুরস্ক অঞ্চলের অনেক এলাকা আবারও রুশ সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট