সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নসহ ১৩ দফা দাবি

অনতিবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন এবং গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অভিন্ন ওয়েজবোর্ড প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার উদ্যোগ।
শনিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাগর -রুনি মিলনায়তনে সর্বস্তরের সংবাদকর্মীদের মতবিনিময় গণমাধ্যম সংস্কার উদ্যোগ নামের সংগঠনটি এ সব দাবি জানানো হয়। এসব দাবিগুলো উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আরিফুল সাজ্জাত।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২. ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে আহত গণমাধ্যমকর্মী ও আক্রান্ত গণমাধ্যমকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. গণমাধ্যমের যেসব মালিক ও নির্বাহীরা গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে, তদন্ত সাপেক্ষ তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অভিন্ন ওয়েজবোর্ড প্রণয়ন করতে হবে। অনতিবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ বণ্টন করতে হবে।
৬. অগণতান্ত্রিক উপায়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের দখলদারিত্বের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
৭. গণমাধ্যম কর্মীদের সর্বস্তরের ভয়ভীতি বন্ধ করতে হবে। সরকারি সিকিউরিটি ফোর্স গণমাধ্যমের সংগঠনগুলোর নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
৮. গণমাধ্যম পরিচালনার ধরণসহ সার্বিক বিষয়ে সংস্কারের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করতে হবে।
৯. গণমাধ্যম ও স্বাধীন মত প্রকাশ বিরোধী নিবর্তনমূলক আইনের সকল ধারা বাতিল করতে হবে।
১০. আইসিটি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
১১. সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাসহ সব হত্যাকান্ড ও নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
১২. বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের গুম, নির্যাতন ও হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে।
১৩. সব গণমাধ্যম যেন গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে পারে সেই নিশ্চয়তার বিধান করতে হবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুজ্জামান কামাল, সেলিম সামাদ, মিজানুর রহমান কবির, আহম্মদ ফয়েজ, বাহারাম খান, মঈনুল হক, মাহবুব সৈকত, জোনায়েদ শিশির প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের সঙ্গে গণমাধ্যমকে সংস্কার করা উচিত। তাই গণমাধ্যমের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করতে হবে। এ নিয়ে আরো বিশ্লেষণ করা উচিত। গণমাধ্যমে কর্পোরেট ওনারসিপের কারণে অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না।
কর্পোরেট অফিসগুলো তাদের মতো করে গণমাধ্যম পরিচালনা করে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকদের ইউনিয়নকে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। একে অপরের মধ্যে যেন রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে শ্রদ্ধাবোধ বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট