সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সেনানিবাসে আশ্রয় নেন ৬২৬, এখন আছেন সাতজন : আইএসপিআর

প্রাণ রক্ষার্থে রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ ঝুঁকিতে থাকা বিভিন্ন পর্যায়ের সর্বমোট ৬২৬ জন নাগরিককে বিভিন্ন সেনানিবাসের অভ্যন্তরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে তাদের মধ্যে ৬১৫ জন নিজ উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেছেন।

রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়।

এসময় প্রাণনাশের আশঙ্কায় কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিকরা সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এপ্রেক্ষিতে বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ, জীবন রক্ষা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জীবন বিপন্ন ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ২৮ জন পুলিশ অফিসার, ৪৮৭ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার পরিজন (স্ত্রী ও শিশু)’সহ সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ৬১৫ জন নিজ উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। এছাড়া আশ্রয় প্রদানকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৪ জনকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা মামলা দায়ের হলে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, বর্তমানে আশ্রয়প্রাপ্ত ৩ জন ও তাদের পরিবারের ৪ জন সদস্যসহ মোট ৭ জন নাগরিক সেনানিবাসে অবস্থান করছে। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সকল তথ্যাদি প্রদান করা হয়েছে।

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এক্ষেত্রে গুজবে কান না দিয়ে সকলকে ধৈর্যশীল ও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শন করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনসাধারণের পাশে আছে এবং থাকবে।

সম্পর্কিত পোস্ট