শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপির সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অংশ নেন।
বৈঠক শেষে খসরু বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রোডম্যাপ, বাংলাদেশ কোন দিকে যাচ্ছে, ভবিষ্যৎ কী- এসব বিষয় নিয়ে আমাদের মতামতটা জানতে চেয়েছেন। বিএনপির চিন্তা-ভাবনা কী ভবিষ্যতে জানতে চেয়েছেন। মূলত বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতিসহ যেসব রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে গেছে। যে জায়গায় গিয়ে দেশ দাঁড়িয়েছে, এখান থেকে উত্তরণের কী পথ? আমরা কী চিন্তা করছি? আর ওরা কী করতে পারে, এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন।
দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ‘নাজুক অবস্থায়’ আছে মন্তব্য করে খসরু বলেন, এগুলোকে আমরা কীভাবে রেস্টোর করতে পারি? সেখানে (বৈঠকে) আমরা আলোচনা করেছি। আর্থিক খাত বলুন, রাজনীতি বলুন, নির্বাচনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলোকে রিকভারি কীভাবে করা যায়, এগুলোর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কীভাবে করা যায়? প্রথমে এগুলোকে রেস্টোর করতে হবে, এগুলোকে ট্র্যাকে আনতে হবে, আনার পরে কীভাবে এগুলোকে একটা কার্য্কর অবস্থানে নিয়ে আসা যায়? এগুলোর বিষয়ে তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর বিষয়ে সুইজারল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে টাকা পাচার হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সুইজারল্যান্ড তাদের আগের অবস্থানে আছে। তারা বলেছে- এই টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের যেকোনো উদ্যোগতে তারা স্বাগত জানাবে এবং তারা সহযোগিতা করবে। এটা হচ্ছে একটা ভালো খবর।
ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, আমরা বলতে চাই, এটা একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যারা এই কাজগুলো করবে। আমরা কোনো সময়সীমা তাদেরকে বেঁধে দিইনি। তবে একটা যৌক্তিক সময় দিয়েছি। এই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন হবে। এটা সকলে প্রত্যাশা করে এবং যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আছে, তারাও কিন্তু এটা বিশ্বাস করে।

সম্পর্কিত পোস্ট