শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা সিটি কলেজে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী ৯ শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ শিক্ষার্থীদের

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা সিটি কলেজে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী ৯ শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৫ আগস্ট) কলেজের সামনে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করে কলেজে নৈরাজ্য ও অস্থিরতা সৃষ্টিকারী সুযোগসন্ধানী শিক্ষকদের এই তালিকা প্রকাশ করে তারা।

ক্যাম্পাসে শতভাগ শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা দাবি জানায় সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে বৈধ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে নিয়োগ দিতে হবে।

কলেজের বৈধ উপাধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল করতে হবে। অবৈধভাবে বহিষ্কৃত সকল শিক্ষককে কলেজে ফিরিয়ে আনতে হবে।

কলেজ সংস্কারের নামে শিক্ষকদের প্রতিহিংসামুলক নোংরা রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। যে শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে উস্কানি দেয়, তাদের শান্তির আওতায় আনতে হবে।

তালিকায় প্রকাশিত শিক্ষকদের শাস্তির দাবি করা হয়েছে। তারা হলেন কাজী নিয়ামুল হক (ইংরেজি), মো. মোখলেসুর রহমান (মার্কেটিং), ফকির মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (ফিন্যান্স), বাদশা আলমগীর (মার্কেটিং), হারুন অর রশিদ (ফিন্যান্স), এস এম তারিকুল ইসলাম (হিসাব বিজ্ঞান), মো. শামীম আহমেদ (বাংলা), প্রফেসর সোহেল আহমেদ (বিবিএ), মো. শাহিনুর রহমান সোবহান (বিবিএ)।

দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

মানবন্ধনে ছাত্ররা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহযোগীতা না করায় গত ৭ আগস্ট অধ্যক্ষ বেদার উদ্দিন আহম্মেদের পদত্যাগ দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে কাজী নিয়ামুল হক, মো. মোখলেসুর রহমান, ফকির মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ছয়জন শিক্ষকের একটা তালিকা ধরিয়ে দিয়ে তাদের আজীবন বহিষ্কারের দাবি করতে বলেন।

কাজী নিয়ামুল হক যথাযথ কর্তৃপক্ষের আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়া বেআইনিভাবে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেন।

গত ৮ আগস্ট অসুস্থতা জনিত কারণে ছুটিতে থাকা উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর রুমের নাম ফলক সরিয়ে উপাধ্যক্ষের চেয়ার অবৈধভাবে দখল করেন মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর মোখলেসুর রহমান।

এ কাজে তার সহযোগী হন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীম আহমেদসহ কয়েকজন শিক্ষক।

বৈধ উপাধ্যক্ষকে ‘পলায়নকৃত উপাধ্যক্ষ’ এবং ৬ জন শিক্ষককে বহিষ্কৃত উল্লেখ করে তাদেরকে কলেজ ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে।

পরের দিন ৯ আগস্ট ঢাকা সিটি কলেজে কর্মরত সাবেক শিক্ষকের বেদখল হওয়া বাড়ী দখল করতে কলেজের দুটি গাড়ী ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় লোকজন সেনাবাহিনী ডাকলে শিক্ষকরা পালিয়ে যান।

অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের চেয়ার ধরে রাখতে কাজী নিয়ামুল হক ও মোখলেসুর রহমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে শিক্ষক সমন্বয়ে কমিটি ও সিটি কলেজের সাবেক ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া (রাজনীতির সাথে যুক্ত) তামিম হোসেনকে আহ্বায়ক করে ছাত্র সমন্বয়ক কমিটি গঠন করেন। ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে সেই কমিটি বাতিল করতে বাধ্য হন তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট