সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শাটডাউন ঘোষণা

ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসকদের মারধরকারীদের বিচারের আওতায় ও নিরাপত্তার দাবি মেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত সারাদেশের সব সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল সাটডাউনের ঘোষণা চিকিৎসকদের।

নিউরোসার্জারী ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. আব্দুল আহাদ চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের মারধরকারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি ও নিরাপত্তার আগ পর্যন্ত সারাদেশের সব সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল সাটডাউনের ঘোষণা করেন।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) পৌনে ১টার দিকে এই ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া তাদের আটটি দাবি রয়েছে। সেগুলো দুপুর ২টায় দিকে ঘোষণা দিবে বলে জানান চিকিৎসকরা।

ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যে দুইবার ইনসিডেন্ট ঘটেছে সেখানে আমাদের চিকিৎসকরা নিজর জীবন বাজি রেখে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিয়েছে। এমন নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়েছে, খাবার দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশের ডা. বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের একটা পার্ট। শনিবার যে ঘটনা ঘটেছে নিউরো সার্জারি অপারেশন থিয়েটার থেকে রোগীর লোক এক ডাক্তারকে বের করে এনে মারধর করে। শুধু তাই নয় মারতে মারতে ২০০/৩০০ মিটার পরিচালকের রুমের নিয়ে যায়।

এ বিষয় নিয়ে আমরা দফায় দফায় বৈঠক করি। এই বৈঠকে দুটি বিষয় সিদ্ধান্ত হয়। একটি অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি ছিল আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করা। আমরা যারা জরুরি বিভাগে থাকি তাদের নিরাপত্তার জন্য আর্মি, পুলিশ সহ অন্যান্য ফোর্স এখানে থাকবে। কিন্তু আমাদের প্রশাসন সেটা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শানিবার রাতে আরো দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। বাইরে এক গ্রুপ এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করে। সেই গ্রুপ চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে আসে। তখন বিপক্ষ গ্রুপ ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসা নিতে আসা গ্রুপকে আবার মারধর করে। তাইলে যেখানে রোগীও নিরাপদ না সেখানে চিকিৎসকরা কেমন করে নিরাপদ থাকবে। কিছুক্ষণ পর জরুরি বিভাগের ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারে (ওসেক) এক যুবক মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে সেখানে দায়িত্বে থাকা ডাক্তার, নার্সদের উপর হামলা করে। ইমার্জেন্সি ভাঙচুর করে। আমরা দেখতে পাই ডা. রোগী কেউ নিরাপদ না।

রাতে পরিচালকের অনুরোধক্রমে রাত ১১টার পরে কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাই। সারা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ডিউটি করি। কিন্তু কোন সিকিউরিটি আমরা দেখতে পাইনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে নিজের নিরাপত্তার জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছি। সারা বাংলাদেশের বেসরকারি সরকারী সকল হাসপাতাল বন্ধ থাকবে দুপুর ২টায় আমাদের দাবি দাওয়া সহ সবকিছু ব্রিফ করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট