ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ এবং সরকারের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ ১০টি দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের চাহিদার প্রেক্ষিতে সহযোগিতা করা হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক প্রশাসন এবং পররাষ্ট্র সচিব অভিযোগগুলো দেখার পর প্রতিটি কেইস পররাষ্ট্র উপদেষ্টা পরীক্ষা করবেন।
বুধবার ( ৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, অডিট অবজেকশনকে অনেক সময় দুর্নীতি হিসেবে দেখা হয়। সেগুলো দুর্নীতি হিসেবে দেখা হচ্ছে কি না সেটি দেখতে হবে। অভিযোগের ধরন দেখে আমার মনে হচ্ছে এগুলোর অনেকগুলো অডিট অবজেকশনের ফলাফল। অডিট অবজেকশন আর দুর্নীতি এক জিনিস নয়। অডিট অবজেকশন হলে সংশ্লিষ্ট অফিসার বিষয়টা দেখবে।
যদি কোনো কিছু থেকে থাকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর হয়ত কিছু টাকা কেটে রাখা হবে। কিছু একটা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকতে পারে বলে আমি মনে করছি। তবে, আমি নিশ্চিত করে কিছু বলব না, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিটি কেইস আমি বিস্তারিত না দেখব। মহাপরিচালক প্রশাসন এবং পররাষ্ট্রসচিব দেখার পর সেটি আমি পরীক্ষা করব।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই না দুর্নীতি হোক। কাজেই যেটুকু সহযোগিতা তারা (দুদক) চাইবে, সেটি আমরা অবশ্যই করব। দেখতে হবে যে প্রকৃত অর্থে দুর্নীতি হয়েছে কি না। নিয়োগ বাতিল হওয়া চুক্তিভিত্তিক রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফেরা এবং সেসব মিশনে নতুন দূত নিয়োগের বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
কয়েকদিনের মধ্যে সেটি শেষ হয়ে যাবে। চলে আসবে সবাই। রিপ্লেসমেন্টে একটু সময় লাগবে। হুট করে তো হবে না, এটা ভেবে-চিন্তে দিতে হবে। উপযুক্ত লোক লাগবে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ থেকে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও ফিলিপাইনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, চ্যান্সারি প্রধান বা প্রধান কনস্যুলার কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাইকমিশনে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে।
চিঠিতে এসব কর্মকর্তার বর্তমান কর্মস্থল, পদবি, স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুদককে সরবরাহ করার অনুরোধ করা হয়েছে।