সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে সমাবেশ, শাহবাগ অবরোধ

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ করার দাবিতে মহাসমাবেশ করছে ‘৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বরে) বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়।

এদিকে বেলা দেড়টার কিছু পর থেকে তারা সমাবেশ থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (২ টা ২৫ মিনিট) এখনও শাহবাগ সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন তারা। এসময় দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন চাকরিতে ৩৫ প্রত্যাশীরা।

এর আগে বেলা ১১ টায় সমাবেশে ‘বয়সসীমা বৃদ্ধি চাই, যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ চাই’, ‘৩০ এর শৃঙ্খল, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘বয়স না যোগ্যতা, যোগ্যতা যোগ্যতা’, বয়স না মেধা-মেধা মেধা’, ‘৩০ থেকে মুক্তি চাই, বয়সসীমা ৩৫ চাই’, ‘৩৫ এর অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া সমাবেশে আগত কয়েকজনকে চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায়।

সমাবেশে অংশ নিয়ে মো. রফিক নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য যদি কোনো বয়সসীমা না থাকে তাহলে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কেন থাকবে। আজকে আমরা সৌদি আরব, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইন্দোনেশিয়াসহ উন্নত দেশের দিকে তাকালে দেখি সেখানে চাকরিতে বয়সসীমা নেই, সেখানে ৫৫ বছর বয়সীরাও চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৪২ বছর; ক্ষেত্রবিশেষ ৪৫ বছর। তাহলে বাংলাদেশে কেন বয়সসীমা ৩০ থাকবে, বাংলাদেশি হিসেবে আমরা এই বৈষম্য মানতে পারি না।

৩৫ প্রত্যাশীর দাবিতে আন্দোলনে যোগ দেওয়া ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের দাবির বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস স্যারের কাছে আবেদন জানিয়েছি, স্মারকলিপিও প্রদান করেছি। তাঁর কাছ থেকে উত্তর পাওয়ার আশায় আজ আমরা সমবেত হয়েছি। আমরা আশা করছি ইতিবাচক সাড়ার জন্য। কিন্তু যদি সেধরনের সাড়া না আসে তাহলে আমাদের মাঠপর্যায়ের সহযোদ্ধাদের মতামতের ভিত্তিতেই আমরা পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করব। সেক্ষেত্রে আমাদের ব্লকেড বা পদযাত্রার মতো কর্মসূচী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

এর আগে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কত অনিয়ম চালু আছে সে কথা বলতে গেলে একটা ডিকশনারির মতো হয়ে যাবে। কত যে অস্থায়ী নিয়োগ আছে, যখন তখন একজনকে কান ধরে বের করে দেওয়া যায়, এমন নিয়মেরও হিসাব নেই। এসবের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত নেই।

তিনি বলেন, আমরা যে আন্দোলন করেছি এটা শুধু সরকার পতনের কোনো আন্দোলন ছিল না। আমরা বলেছি এটা দেশ বদলের আন্দোলন, অপশাসন বদলের আন্দোলন। দেশ থেকে বৈষম্য দূর করাই আমাদের আন্দোলনের মুল লক্ষ্য ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু সুন্দরভাবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি মনে করি, আমাদের দেশটা বদলে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট