বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দখলদারের হাত থেকে বাঁচতে চায় নিকুঞ্জ কনভেনশন হল মালিক-কর্মচারী

দখলদারের হাত থেকে বাঁচতে অবস্থান কর্মসূচি করছে নিকুঞ্জ কনভেনশন হলের মালিক কর্মচারী।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) তারা সপ্তাহব্যাপী এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।
অবস্থান কর্মসূচিতে নিকুঞ্জ কনভেনশন হলের মালিক হারিজ মাহমুদ ও মনির হোসেন  বলেন, সিটি ডেন্টাল কলেজের মালিক  ডা. এ এস এম বদরুদ্দোজা এর কাছ থেকে (ঠিকানা-৭৩/এ এয়ারপোর্ট রোড, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত, ঢাকা) গত ২৭ জুন ২০২১ ইং তারিখ কনভেনশন হল করার জন্য উক্ত বিল্ডিং এর উপর দিক থেকে সারে তিনটি ফ্লোর ক্রয় করার সর্তে ডা. বদরোদ্দোজার সহিত রেজিষ্ট্রী বায়না করি এবং বায়নায় উল্ল্যেখি শর্ত মোতাবেক কনভেনশন হলে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
তারা বলেন, পরবর্তীতে রেজিষ্ট্রীর সময় হলে সে আওয়ামী লীগ এর দাপট দেখিয়ে রেজিষ্ট্রী করে না দিয়ে আমাদের চলামান ব্যবসা (নিকুঞ্জ কনভেনশন হল) বন্ধ করে দিয়ে অন্যায় ভাবে বের করে দিতে চান। অনুন্যপায় হয়ে আমরা আদালতের সরনাপন্য হই এবং উচ্চ আদালত দীর্ঘ শুনানীর পর গত ২০ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ নিকুঞ্জ কনবেনশন হলের পক্ষে রায় দেন এবং ইংজাংশন জারী করেন এই মর্মে যে নিকুঞ্জ কনভেনশন হলের চলমান ব্যবসায় কোন রকম বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।
তারা জানান, গত ৩১ আগস্ট ২০২৪ ইং শনিবার বেলা আনুমানিক ১১:৩০ ঘটিকায় ডা. বদরোদ্দোজা নিজে ও তার অফিস স্টাফসহ ২০/২৫ জন লোক নিয়ে নিকুঞ্জ কনভেনশন হলে ঢুকে ব্যাপক লোটপাট ও ভাংচুর চালায়। সাথে সাথে আমি খিলক্ষেত থানা, র‍্যাব ও আর্মি ক্যাম্পকে জানাই, আনুমানিক আধা ঘন্টা পর খিলক্ষেত থানার ওসি সাহেব তার ফোর্সসহ এসে পরাস্থীতি নিয়ন্ত্রণে এনে আমাকে এবং ডা. বদরোদ্দোজাকে বলেন নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করার জন্য।

তারা বলেন, পরদিনই অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর রোববার ডা. বদরুদ্দোজা লোকজন এসে আমাকে শাসাইয়া যায় এই বলে যে আমি যেন সাত দিনের মধ্যে কনভেনশন হল বন্ধ করে চলে যাই, নাহলে তারা নিকুজ কনভেনশন হল উচ্ছেদ করবে।

তারা বলেন, অথচ কলেজের মালিক নিজেই আমাদের ডেকে এনে সারে তিনটা ফ্লোর আমাদের নিকট বিক্রী করেছেন আর এখন অন্যায় ভাবে আমাদের উচ্ছেদ করতে চাচ্ছেন। এখানে আমার স্টাফসহ শতাধিক পরিবারে রুটি রুজি জড়িত।

তারা আরও বলেন, আমরা নিয়মিত ভ্যাট ট্যাক্স প্রদান করে দেশের অগ্রগতিতে অবদান রেখে আসছে, আর বর্তমান সরকারের ১ নম্বর এজেন্ডাই হচ্ছে সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যার জন্য সরকার ব্যবসা বাণিজ্যে নানা রকম সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ কাছে আশা প্রকাশ করে বলেন,এমতবস্তায়  আমরা আশা করছি আপনারা আমদের এই ন্যায্য অধিকার আদায়ে আমাদের পাশে থাকবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট