রাশিয়ার ভেতরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পশ্চিমা মিত্রদের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ইউক্রেন।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেন ডিফেন্স কন্টাক্ট গ্রুপের (ইউডিসিজি) এক বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ অনুমতি চান। জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করতে তাঁর দেশের এই অনুমতি দরকার।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের দূরপাল্লার সক্ষমতা দরকার। (এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে) শুধু ইউক্রেনের বিভক্ত ভূখণ্ডে নয়, বরং রুশ ভূখণ্ডেও হামলা চালাতে পারা উচিত। যাতে করে রাশিয়া শান্তি আলোচনা করতে উদ্বুদ্ধ হয়।’
ইউডিসিজির বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইউক্রেনের জন্য আরও ২৫ কোটি ডলার সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমাদের এই সহায়তা ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা মেটাতে এবং সক্ষমতা আরও বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
বিবিসি জানায়, বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য ৬৫০টি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বা লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল (এলএএম) পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি। এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ৬ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত করা সম্ভব।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর ইউডিসিজি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ইউক্রেনে অস্ত্র দেওয়া প্রায় ৫০টি দেশ নিয়ে গ্রুপটি গঠিত। ইতিমধ্যে গ্রুপটির কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। এবারই প্রথম এই গ্রুপের বৈঠকে অংশ নেন জেলেনস্কি।
এমন এক সময়ে জেলেনস্কি জার্মানির ইউডিসিজির বৈঠকে যোগ দিলেন, যখন রুশ হামলায় ইউক্রেনের পোল্টাভা শহরের ৫৫ জন মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছে ৩০০ জন।
যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমারা ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে। কিন্তু তা দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালানোর অনুমতি দেয়নি। এই অবস্থায় জেলেনস্কির এই অনুরোধ কতটুকু কার্যকর হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।