রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল শহিদ মিনারে প্ল্যাটফর্মটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং সদস্য সচিব হয়েছেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহবায়ক আখতার হোসেন। এছাড়া নাগরিক কমিটিতে মুখপাত্র হয়েছেন সামান্তা শারমিন।
এছাড়া নাগরিক কমিটিতে ৫৩ জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এর আগে বিকেল ৫ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় শহীদ আহনাফ আবিরের বোন সাইয়্যেদা আখতার ও শহীদ রায়হান হোসেন সাদ্দামের বোন স্বর্ণা আখতার বক্তব্য রাখেন।
পরবর্তীতে নাগরিক কমিটি’র নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সরকার গঠিত হলেও পূর্বেকার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা এখনো জনগণের সাফল্যের প্রতিদ্বন্দ্বিরূপে সক্রিয়। নিপীড়ক রাষ্ট্রযন্ত্রের ধ্বংসাবশেষ প্রতি পদে রাষ্ট্রের পুনর্গঠনকে বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজপথে নেমে আসা জনতাকে সংগঠিত করা, ৮ আগস্টে গঠিত সরকারকে যুগপৎ সহযোগিতা করা এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনা, তদুপরি জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে আমরা নাগরিক দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করছি।
তিনি আরও বলেন, এই নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীকে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে পূর্ণ বিজয় অর্জন করতে হবে। গণহত্যাকারীদের যথাযথ বিচার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন, জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল নীতি নির্ধারণ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পূর্বশর্ত।
তিনি জানান, জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি আহবায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করছে। অচিরেই সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে আমরা আলোচনা করবো। তৃণমূল পর্যন্ত এ কমিটির বিস্তৃতি ঘটানোর মাধ্যমে আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাব।