সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপির পরবর্তী লক্ষ্য ভোট ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা : তারেক রহমান

ফ্যাসিবাদ পতনের মাধ্যমে একটি লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পরবর্তী লক্ষ্য হল জনগণের ভোট ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। রাজনীতির অধিকার অর্জন করা। বিএনপির ঘোষিত ৩১দফা বাস্তবায়ন করতে হবে৷ উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী রাজনীতি চালু করা হবে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর সূতী বি এম পাইলট সরকারি স্কুল মাঠে জনসভা। দলের কারাবন্দী ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দাবিতে এই জনসভার আয়োজন করে গোপালপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
উৎপাদনমুখি রাজনীতির ওপর গুরুত্ব দিয়ে তারেক রহমান বলেন, অর্থনৈতিক বিভিন্ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এতেই জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব। টাঙ্গাইলের জামদানি শাড়ি, চমচম, পাটজাত পণ্য, আনারস, টুপিসহ বিভিন্ন  পন্যের উৎপাদনকে আরও সহজ করতে হবে। ব্যাপক হারে বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে। সুতা ও কাচামালের দাম কমিয়ে আনতে হবে৷ নারীদের কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, হাজারো মাইল দূরে থাকলেও মন পড়ে বাংলাদেশে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জিয়াউর রহমানের খাল কর্মসূচি আবারও চালু করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরাচার বিদায় নিলেও তার প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে আশপাশে। বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। দলের নাম ভাঙিয়ে অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। জিয়ার সৈনিকেরা তাদের রুখে দেবে। প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তারেক রহমান।
বিকেল পৌনে পাঁচটায় সমাবেশ মাঠে স্থাপিত বড় পর্দায় তারেক রহমানকে দেখার সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত নেতাকর্মীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। মুহুর্মুহু করতালি আর স্লোগানে হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানান।
এর আগে সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল শোডাউন নিয়ে নেতাকর্মীরা মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন। সবাই তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে নানা স্লোগান দেন। একইসঙ্গে সালাম পিন্টুর মুক্তির দাবি জানান।
সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বলেন, গণ আন্দোলনের পেছনের নায়ক ছিলেন তারেক রহমান। বিদেশে থেকেও তিনি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে কথা বলে দলকে সুসংগঠিত করেছেন। এখন সবাইকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, অনেকে নাকি বলে ১৫দিনের আন্দোলনে নাকি সরকার পতন হয়েছে। বিএনপি ১৭বছর ধরে নির্যাতনের শিকার। সরকার পতনের কৃতিত্ব জনগণের৷ নেতৃত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নাকি মুদ্রার ওপিঠ ওপিঠ। এটা হতে পারে না। বিএনপি কখনো বাকশাল কায়েম করেনি।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, জিয়া পরিবারের প্রশ্নে পিন্টু কখনো আপোষ করেনি। মিথ্যা মামলায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে কারান্তরীণ।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেলের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, জেলা ওলামা দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ- সম্পাদক কাজী লিয়াকত প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম, সহ সভাপতি আবু ঈশা মুনিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এহসানুল হক চৌধুরী ওপেল, পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হোসেন উত্থান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার লেলিনসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা- কর্মীরা।

সম্পর্কিত পোস্ট