শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাজনৈতিক দলগুলোও এ বিষয়ে একমত বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের সভার পর ফয়েন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের চিকিৎসাসহ দীর্ঘমেয়াদে সহায়তার জন্য ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি ও আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে এ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সাত জন সদস্যের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ কমিটির মোট সদস্য হবে ২১ জন।
বৈঠক শেষে দেশের ছয়টি সেক্টরের সংস্কার নিয়ে ছয়টি কমিশন গঠন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই কমিশনগুলোর কার্যপরিধি এখনও ঠিক করা হয়নি। তারা প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই কমিশনগুলোতে সাচিবিক সহায়তা দেবে। প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সম্মেলন শেষে টার্ম অব কন্ডিশন ঠিক করা হবে। কমিশনগুলোর প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে অন্যান্য সদস্য ঠিক করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশা করছি তিন মাসের মধ্যে কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন দিতে পারবে। তবে এই প্রতিবেদন আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না সেটা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐক্য এটার সপক্ষে আমরা কতটা গড়ে তুলতে পারি তার ওপর। এজন্য সংস্কারের বিষয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোরও মতামত চাচ্ছি। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নিশ্চয়ই এ উপলব্ধি আসছে।
তিনি বলেন, তৎকালিন কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন এরশাদ সরকার করে যেতে পারেনি, তার ফল কী হয়েছে এটা রাজনৈতিক দলগুলো দেখেছে। তারাও কোনও সংস্কার করেনি। এর ফল কী হয়েছে সেটাও ৫ আগস্ট জাতি দেখেছে। কোনও রাজনৈতিক দল নিশ্চয়ই অজনপ্রিয় হয়ে আবার একই রকম ফলাফল দেখতে চাইবে না। এজন্য প্রথম থেকেই আমরা মতবিনিময়ে রাজনৈতিক দল অন্তর্ভূক্ত করেছি। এক পর্যায়ে আমরা সংলাপে যাবো। ওই সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার ও কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে তারপরে আমরা নির্বাচনের কথা ভাবছি। রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছে যে আগে সংস্কার ও পরে তারা নির্বাচনে যেতে যায়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে আসবে। শ্রমিকদের অসন্তোষ নিয়ে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর উপদেষ্টারা বসছি। বুধবারও তারা বসেছিলেন, সেখানে ৬ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বসে থাকা অবস্থায় একটি বড় কোম্পানি বেতন দিতে না পারার কারণে সেখানে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটেছে। সেসময় আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলে ৭৯ কোটি টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। এতে সেই বেল্টের ৪০ হাজার শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। আজ সেজন্য শ্রমিক অসন্তোষ কম আছে।

সম্পর্কিত পোস্ট