জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, গণহত্যার মহাকৌশল নিয়ে নির্বিচারে এবং বর্বরোচিত উপায়ে দেশের নাগরিক হত্যার একমাত্র দায় শেখ হাসিনা সরকারের, এ গণহত্যা ক্ষমার অযোগ্য। গণহত্যায় দায়ী এবং জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মৃত লাশের উপর গুলি করা এবং আহতকে পুড়িয়ে ফেলাসহ মানুষ হত্যার তান্ডবকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিতে পারলে সমাজ ভয়ঙ্কর হিংস্র হয়ে উঠবে। গণ হত্যাকারী কাউকে ক্ষমা করা যাবে না।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) উত্তরায় জেএসডি কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আ স ম রব বলেন, রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় শ্রম, কর্ম ও পেশার জনগণের অংশীদারিত্বভিত্তিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করতে পারলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটবে না।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় রাজনীতি ও কাঠামোগত সংস্কারের প্রশ্নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুতরাং সংবিধানসহ ক্ষমতা কাঠামোর প্রশ্নে সকল সমাজ শক্তির অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সংবিধান ও বিধি-বিধানের সংস্কার প্রশ্নে সুস্পষ্ট প্রস্তাবনা হাজির করতে হবে। সকল মত ও পথের সংস্কারের প্রস্তাবনা নিয়ে সংলাপের মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘস্থায়ী সংস্কারের রুপরেখা চূড়ান্ত করতে হবে। ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনরুদ্ধারে সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের একমাত্র বিকল্প হচ্ছে রাজনৈতিক দলের সাথে অদলীয় সমাজ শক্তির প্রতিনিধিত্ব সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত করে উপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ‘বিকল্প রাজনৈতিক মডেল’ প্রবর্তন করা। জেএসডি দলগতভাবে শাসনতন্ত্র ও শাসনতান্ত্রিক রূপরেখার প্রশ্নে সুস্পষ্ট প্রস্তাবনা নতুন করে হাজির করবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন মিসেস তানিয়া রব, অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, দেওয়ান ইস্কান্দার রাজা চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান, সরোয়ার হোসেন, আব্দুল লতিফ খান, অ্যাডভোকেট মিয়া হোসেন, আমিন উদ্দিন বিএসসি, সোহরাব হোসেন, আহসান উদ্দিন চৌধুরী সুইট, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।