সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়টি গুজব : জনপ্রশাসন সচিব

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করা নিয়ে যা বলা হচ্ছে তা পুরোটাই গুজব বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। এসব খবরে কান না দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক জানতে চান সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর হচ্ছে বলে অনেক জায়গায় সংবাদ হচ্ছে, এ বিষয়ে আপনারা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? জবাবে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘আমার একটাই উত্তর, গুজবে কান দেবেন না।’ তখন ওই সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন, ‘আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?’ জবাবে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমি তো এক কথায় বলে দিলাম, গুজবে কান দেবেন না। আমি যদি এই কথা বলি, তার মানে এটা গুজব।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে চাকরিতে প্রবেশের সাধারণত সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। আর অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা ৫৯ বছর। কিছু চাকরিপ্রত্যাশীরা বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করছেন। এ ছাড়া প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার দাবি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সম্প্রতি আবেদন করে। তবে বিষয়টি যেহেতু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধির আওতার মধ্যে পড়ে, তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দাবিসংক্রান্ত সেই চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েে দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়ছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট