শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

জামায়াতের সাবেক দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক পয়সা দুর্নীতির অভিযোগ নেই

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, অতীতে যারাই যখন ক্ষমতায় এসেছিল তারাই দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। জামায়াতে ইসলামীর ২ জন মন্ত্রী ৩টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তারা এক পয়সা দুর্নীতি করেছে বলে আজ পর্যন্ত কেউ অভিযোগও করতে পারেনি। এমনকি যতজন এমপি দায়িত্ব পালন করেছে তাদের বিরুদ্ধেও কেউ দুর্নীতির অভিযোগ করতে পারেনি।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত মজলিসে শুরার সাধারণ অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুজিবুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা এক আল্লাহকে ভয় করে। রাষ্ট্রীয় সম্পদকে জনগণের সম্পদ মনে করে এবং বিশ্বাস করে। সেজন্য জামায়াতের কর্মীরা জনগণের সম্পদ লুট করে না।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব জনগণ জামায়াতে ইসলামীর হাতে দিলে যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। সুদ কখনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না মন্তব্য করে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, যাকাত ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম কর্মসূচি।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় শুক্রবার রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
অধিবেশনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, শামসুর রহমান অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, ড. মোবারক হোসাইন সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরী দক্ষিণের নেতারা।
সভাপতির বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ন্যায় বিচার, আইনের শাসন এবং মৌলক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামী যে সংগ্রাম চালিয়ে আসছে তা চূড়ান্তরূপ নেওয়া পর্যন্ত সব স্তরের নেতাকর্মীদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্বে একটি কুচক্রী মহল এখনো অপপ্রচার চালাচ্ছে। অতীতের মতো জামায়াতে ইসলামী দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে সব অপপ্রচার রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট