সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার

রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত ছয়টি কমিশনের কার্যক্রম শুরুর আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে অন্তবর্তীকালীন সরকার।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সফর পরবর্তী আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এসব কমিটি কাজও শুরু করেছে। মঙ্গলবার ১ অক্টোবর থেকে এসব কমিটির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগেই আলোচনায় বসা দরকার। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রের স্টেকহোল্ডার। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবেন শফিকুল আলম বলেন, সংস্কার কমিশনের কাজ দ্রুতই শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারও আলোচনা শুরু হবে। আলোচনা শেষে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আসন্ন আলোচনায় আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে।
সরকারের সময়সীমার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে, ১৬ না ১৮ মাস পরে, এটা ঠিক করবে দেশের জনগণ। নির্বাচনের বিষয়ে সেনাপ্রধান নিজের মতামত জানিয়েছেন। কত মাস লাগবে সেটা নির্ধারণ করবে জনগণ।
বিশ্ব নেতারা টাইম ফ্রেম জানতে চাননি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত এবং জনগণসহ সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত নিয়েই নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, বিশ্বনেতারা রাষ্ট্র মেরামতের বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে। এ অবস্থায় রাষ্ট্র সংস্কারে ৬টা কমিশনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে পুরোদমে সংস্কার শুরুর আগে উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরেকদফা আলোচনা করবেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্বাচনে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, তিনি এক কথার মানুষ। তিনি সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। তিনি রাষ্ট্র মেরামতের এ সুযোগকে মহৎ একটি কাজ হিসেবে বিবেচনা করছেন এবং এটিকে তিনি সফল জায়গায় নিয়ে যেতে চান।
আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক সমর্থনের বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কার কমিশনগুলোকে বিশ্বনেতারা সমর্থন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জাতিসংঘে সফরের সময় তার সরকারকে বিশ্ব নেতারা সমর্থন জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকার এখন পর্যন্ত দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট