শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

৮ দফা দাবিতে শহীদ মিনারে গণসমাবেশ করছে সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট

সংখ্যালঘু নির্যাতন ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থাসহ ৮ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসমাবেশ করছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় দলে দলে বিভিন্ন সনাতনী সংগঠনের ব্যানারে শহীদ মিনারে জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা। শঙ্খ বাজিয়ে ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু করেন তারা।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের প্রতিনিধি প্রদীপ ক্রান্তি দে বলেন, ৯ আগস্ট থেকে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে সেটা বন্ধ করার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। আমাদের উদ্দেশ্য ক্ষমতায় বসার নয়, দেশকে অস্থিতিশীল করার নয়। আমরা কেবল অধিকারের জন্য এসেছি। আমাদের আট দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্যই আমরা সংগ্রাম করছি।
অ্যাডভোকেট সুশান্ত অধিকারী বলেন, সরকার পতনের পর থেকেই যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, লুটপাট শুরু হয়েছে তাতে বোঝা যায় এদেশের সংখ্যালঘুরা কতটা অনিরাপদ। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন। নাহলে এই সমস্যা কখনোই নিরসন হবে না। পতিত সরকার সংখ্যালঘুদের অবহেলা করায়, বৈষম্য সৃষ্টি  করায় তাদের পরিণতি ভালো হয়নি। সুতরাং অনতিবিলম্বে বৈষম্য নিরসন করে আট দফার বাস্তবায়ন করতে হবে।
সমাবেশে একাত্মাপ্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে, হিন্দু যুব মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি গৌতম হালদার প্রান্ত, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের সভাপতি ও বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামী, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী দাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের আটদফা দাবির মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর প্রতিটি নির্যাতনের ঘটনার বিচার ও নিহত-আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, হিন্দু সম্প্রদায়ের উচ্চশিক্ষার নিমিত্তে বৈদিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন রোধে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, শারদীয় দুর্গাপুজার সরকারি ছুটি ৫ দিন ঘোষণা করা, সকলশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সনাতনী হিন্দু শিক্ষার্থীদের জন্য ধর্মীয় উপাসনালয় স্থাপন এবং ৬৪ জেলায় মডেল মন্দিরসহ সনাতনী কৃষ্টি, সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ।

সম্পর্কিত পোস্ট