মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

হত্যার নির্দেশদাতাদের দ্রুত জামিন দেওয়ার অভিযোগ বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদকের

গণআন্দোলনে সরাসরি হত্যার নির্দেশদাতাদের দ্রুত জামিন দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে পল্লবীতে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে মানুষের ওপর আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ও তাদের দোসররা জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে যারা বার বার ক্ষমতার চেয়ারে বসেছে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশনায় গণআন্দোলনে অসংখ্য ছাত্র-জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মী ভাইদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শহীদদের রক্ত এখনো শুকায়নি, অথচ সেই হত্যাকারীদের দ্রুত জামিন দেয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচারী কায়দায় রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো বযবহার করে ক্ষমতায় বসে ছিল, সেই রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তারা (আওয়ামী সরকার) এই রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলোর কোমর ভেঙে দিয়েছে। এই আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের দোসররা তারা এখনও রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বসে আছে।
দেশের স্বর্থে রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলোর সঠিক সংস্কারের প্রয়োজন।এরজন্য সকলের সহযোগিতায় আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় সকল যন্ত্রগুলো ঢেলে সাজাতে হবে। নইলে এর সুফল পাওয়া যাবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন আমরা একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়বো উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, বিএনপি জনগণের দল, জনগণকে সাথে নিয়েই বিএনপি রাজনীতি করে এবং জাতির সকল ক্লান্তি লগ্নে বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
সামনে সুন্দর পরিবেশে জনগণের ভোটের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং সেই সরকার জনগণের কথা মতো চলবে।
আমরা অস্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই উল্লেখ করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, সামনে হিন্দু সম্প্রদায়ের  পূজা উৎসব। জাতীয়তাবাদী দলের সকল নেতাকর্মী ভাইয়েরা আপনারা সকলে হিন্দু ভাইদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে। আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে হিন্দু ভাইদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। তারা নিজেরাই হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দিয়ে বিএনপির নামে চাপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি এই ধরনের অপকর্মে কখনও জড়িত ছিল না। এইজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
এসময় উপস্হিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য মাহাবুব আলম মন্টু, রুপনগর থানা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল হক,স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনি, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লাইলী বেগম, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান, সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফ আলী গাজী, পল্লবী থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি হাজী আবু তৈয়ব, রুপনগর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইন্জি. মজিবুল হক, যুগ্ম আহবায়ক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, অলিউল হাসানাত তুহীন, খায়রুল আলম নয়ন, যুবদল পল্লবী থানা সভাপতি হাজী নূর সালাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ফরহাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. তপন, সিনিয়র সহসভাপতি এনামুল হক, যুবদল রুপনগর থানা সভাপতি সোয়েব খান সাধারণ সম্পাদক হাদিউল ইসলাম রাজীব, সিনিয়র সহসভাপতি মো. নাঈম, পল্লবী থানা ছাত্রদলের সভাপতি জুয়েল খন্দকার প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট