ঘরের মাঠে কোনও দল কতটা খারাপ খেলতে পারে সেটার সবথেকে ভালো উদাহরণ হতে পারে পাকিস্তান। বাংলাদেশের কাছে টেস্ট সিরিজ হারের পর এবার ইংল্যান্ডের কাছে তারা টেস্ট ম্যাচে হারল। তবে এটা আর পাঁচটা ম্যাচ হারের মতো নয়, এটা লজ্জার রেকর্ড তৈরি করে হার। এছাড়াও নিজেদের অতীতের লজ্জার রেকর্ডকে নিজেরাই ভাঙলেন বাবর আজমরা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মুলতান টেস্টের পঞ্চম দিনে দুই সেশনেরও বেশি বাকী রেখে জয় তুলে নেয় ইংলিশরা। ইনিংস ও ৪৭ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। এমন হারে লজ্জার এক বিশ্ব রেকর্ড করেছে পাকিস্তান। টেস্টের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে প্রথম ইনিংসে ৫০০ এর বেশি রান তুলেও ইনিংস ব্যবধানে হারলো শান মাসুদের দল। এই নিয়ে টানা ছয় টেস্টে হারের তেঁতো স্বাদ পেল পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ইনিংসে আব্দুল্লাহ শফিক, শান মাসুদ ও সালমান আঘার সেঞ্চুরিতে ৫৫৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। শফিক ১০২, মাসুদ ১৫১ ও সালমান ১০৪ রান করেন। দেখে মনে হয়েছিল হয় এই টেস্টে তারা জিতবে, অথবা ড্র হবে। কারণ ব্যাটিং পিচে ড্র হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল।
যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে যেই উইকেটে রুট ২৬২ আর হ্যারি ব্রুক ৩১৭ রান করল, সেখানেই পাকিস্তান অলআউট হয়ে গেল মাত্র ২২০ রানে। ফলে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারল তারা। প্রথম ইনিংসে শতরানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও অর্ধশতরান করে লড়লেন সলমন আঘা। কিন্তু তাতে পাকিস্তানের লজ্জা ঢাকতে পারলেন না তিনি। কারণ জ্যাক লিচ, বাইডন কার্সদের সামনে কার্যত ধরাশায়ী অবস্থা হল বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানদের। ফলে আরও এক লজ্জার রেকর্ডে সামিল হলেন তারা।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজেদের অতীতের লজ্জার রেকর্ডকে নিজেরাই ভাঙলেন বাবর আজমরা। ২০১৬ সালেও এমনই এক লজ্জার রেকর্ড গড়েছিলেন পাকিস্তান। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৪৪৩ রান করেছিল পাকিস্তান, এরপর সেই টেস্টে ইনিংসে হেরেছিল পাকিস্তান। ২০১৬ সালে ভারতে বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড দল ৪৭৭ রান করলেও, সেই ম্যাচে ইংলিশরা হেরেছিল ইনিংসে। ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ড দল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৪৯২ রান করার পরেও ইনিংসে হেরেছিল সেই টেস্ট। সেই সব রেকর্ডই এবার ভেঙে দিলেন শান মাসুদরা।