জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, বিভিন্ন কারণে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রতি সাধারণ জনগণ বিরক্ত। আমরা যদি মনপ্রাণ দিয়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে পার্টির জন্য কাজ করি তাহলে কাঙ্খিত সুফল পাবো ইনশাআল্লাহ। কারণ সাধারণ জনগণের মাঝে জাতীয় পার্টির প্রতি এখনও বিপুল সমর্থন রয়েছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় পার্টি আয়োজিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সকল থানা নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
চুন্নু বলেন,জাতীয় পার্টির শাসনামলে জনগণ ঐ দুই দলের শাসনামলের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় ছিলো যা এখনও দেশের মানুষ বলে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম জাতীয় পার্টির শাসনামল দেখে নাই, তাই তারা জাতীয় পার্টি বিরোধী কিছু রাজনীতিবিদ ও মিডিয়ার নেতিবাচক বক্তব্যে মন্তব্যে ও কর্মকাণ্ডে মাঝেমধ্যে বিভ্রান্ত হয়। তাই এখনই আমাদের মাঠে ময়দানে নেমে পরার সময়। বর্তমানে রাজনীতি করার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সেজন্যই এখন নিজেদের মধ্যে দ্বিধা বিভক্তি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা থানা ইউনিয়নে পার্টিকে সুসংগঠিত করার জন্য কাজে নেমে পরতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বরাবরই আমাদের অনৈতিকভাবে বিভিন্ন চাপে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করেছে। তাদের কাছে অনেক সময় আমরা জিম্মিও ছিলাম। এখন কোন চাপ নেই তাই আমরা স্বাধীনভাবে আমাদের রাজনৈতিক কর্মকৌশল প্রণয়ন করে জনগণকে প্রকৃত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হবো। জনগণ আমাদেরকেই সমর্থন করবে। এজন্য ধৈর্য্য ধারণ করে কারও কোন উস্কানিতে বিভ্রান্ত না হয়ে পার্টির সকল সাংগঠনিক কার্যক্রমে একাগ্রতার সহিত অংশগ্রহণ করতে হবে এবং জনগণকেও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
চুন্নু আরও বলেন- ঢাকা যার বাংলাদেশ তার। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ হচ্ছে ঢাকার অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখান থেকেই দেশের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শক্তিশালী হলে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী হবে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক মো. জহিরুল আলম রুবেল এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- এম এ সোবহান, আকতার হোসেন দেওয়ান, হাজী মোঃ শাহজাহান, মো. জুবের আলম খান রবিন, মো. ইব্রাহীম আজাদ, মাহবুবুর রহমান খসরু, আবুল কালাম আজাদ, মো. নেয়ামত উল্লাহ নবু,ওহিদুল ইসলাম, এম এ কাইয়ুম, আবুল বাসার বাসু, মিজানুর রহমান চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন খসরু, এম এ রহিম সর্দার, সেলিম আহমেদ প্রমূখ।